প্রতীকী ছবি।
মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে রবিবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হলেন এক তৃণমূল নেতা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আশরাফুল হক। তিনি শমসেরগঞ্জের তিনপাকুরিয়া অঞ্চলের ৮৪ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি। কংগ্রেস অবশ্য এই ঘটনায় শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে মুর্শিদাবাদের ৪ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল হককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের দাবি, বিধায়ক আমিরুলের উপস্থিতিতে হামলা চালানো হয়েছে। তাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী আরিফ শেখ। সেই ঘটনায় দলীয় নেতা গ্রেফতার হওয়ায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন আমিরুল। তাঁর দাবি, ভোটের আগে এলাকা দখল করতে তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমিরুল বলেন, ‘‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে আমাকে গৃহবন্দি করে এলাকা দখলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে সব প্রকাশ্যে আসবে।’’
রবিবার গুলি চলার ঘটনার পর কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ইমাম হোসেন দাবি করেন, বিধায়কই গুলি চালিয়েছেন। এর পর থেকেই বিধায়কের গ্রেফতারির দাবিতে সরব কংগ্রেস। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায় তারা। সোমবার কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল বলেন, ‘‘বিধায়ক এখানে প্রধান অভিযুক্ত। ওঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। উনি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’ বিধায়ক অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের বাবুপুরের কার্যালয়ে বসেছিলেন আমিরুল। তখন কিছু দূরে কংগ্রেসের কয়েক জন ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলেন। আমিরুল কার্যালয় থেকে বেরোনোর পরেই আশঙ্কা করেন, তাঁর উপর হামলা হতে পারে। তিনি দ্রুত গাড়িতে উঠতে যান। অভিযোগ, সেই সময় কংগ্রেসের লোকজন তাঁর গাড়ি ঘিরে ফেলে। তখনই গুলি চলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ঘটনায় কংগ্রেস কর্মী আরিফের পেটে গুলি লাগে। তাঁকে জঙ্গিপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরও দাবি, বিধায়কই গুলি চালিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে কংগ্রেস কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।