নেই লক্ষ্মণ, রইল তৃণমূল

আগে একাধিক বার তো বটেই, ২০১১ থেকে টানা ব্লক সভাপতি ছিলেন লক্ষ্মণ। বাঘা তৃণমূল নেতারা তো বটেই, প্রশাসনের কর্তারাও তাঁকে সমঝে চলতেন। কিন্তু ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে দল তাঁকে ইস্তফা দিতে বলে। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, ফের সভাপতি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৩
Share:

তৃণমূল সমর্থকদের উল্লাস। কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা কুর্সি থেকে সরে গেলে কী হয়, শনিবার তারই সাক্ষী থাকল কৃষ্ণগঞ্জ। বছরের পর বছর যিনি সেখানে দলকে চালিয়েছেন, সেই লক্ষ্মণ ঘোষ কার্যত অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করা হল জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য অশোক হালদারকে। লক্ষ্মণ ঘোষকে দেখাই গেল না বোর্ড গঠনের সময়ে।

Advertisement

আগে একাধিক বার তো বটেই, ২০১১ থেকে টানা ব্লক সভাপতি ছিলেন লক্ষ্মণ। বাঘা তৃণমূল নেতারা তো বটেই, প্রশাসনের কর্তারাও তাঁকে সমঝে চলতেন। কিন্তু ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে দল তাঁকে ইস্তফা দিতে বলে। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, ফের সভাপতি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

কিন্তু তার পরেই অঙ্ক বদলে যায়। একদা তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত অনেকেই সরে যেতে থাকেন। দলের ভিতরে থেকেই তাঁকে সভাপতি না করার দাবি ওঠে। তৃণমূল সূত্রের খবর, জেলা নেতৃত্ব সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মত জানতে চান। সেই মত তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে। তবুও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে অশোক-শিবির আগের দিনই ১৩ জন সদস্যকে নিয়ে এলাকা ছাড়েন। কর্মীদের দাবি, হার নিশ্চিত বুঝেই প্রাক্তন সভাপতি এ দিন আর ব্লক অফিসে আসেন নি। লক্ষ্মণ নিজে অবশ্য বলছেন, “আর পাঁচ মাস পরে আমি শিক্ষকতা থেকে অবসর নেব। এখন ছুটি নিলে অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা পেতে জটিলতা তৈরি হবে। তাই সভাপতি হতে চাইনি।”

Advertisement

প্রত্যাশা মতোই, শনিবার জেলার ১৮টি ব্লকেই বিরোধীদের কার্যত ‘ওয়াশ আউট’ করে দিয়ে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “প্রতিটা ক্ষেত্রেই জয়ী সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার করে সহমতের ভিত্তিতে বোর্ড গঠন করেছি। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement