প্রতীকী চিত্র।
ব্লক তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে অশোদ দত্তকে সরিয়ে দেওয়ায় নাকাশিপাড়া ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তাঁর অনুগামীরা। সোমবার সন্ধ্যার পরেও তাঁরা তালা ঝুলিয়ে কার্যালয়ের সামনে ধর্না দিয়ে বসে থাকেন। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ এলেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তৃণমূলের একটি পক্ষের। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। শেষমেশ রবিবার জানা যায়, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসা অশোক দত্তকে সরিয়ে সেই পদে বসানো হয়েছে কনিষ্ক চট্টোপাধ্যায়কে। অশোক-অনুগামীদের ক্ষোভ, তাঁর নেতৃত্বেই কল্লোল খাঁ চার বারের বিধায়ক হয়েছেন। অথচ তাঁকে কিছু না জানিয়েই সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অপমান করা হল।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল পরাজিত হওয়ার পরে নদিয়া জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তকে সরিয়ে দেন জেলার সংগঠনকে উত্তর-দক্ষিণ দুই ভাগে ভেঙে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই অশোক দত্তকে সরিয়ে নতুন ব্লক সভাপতি হিসাবে কনিষ্ক চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলার পরে নাকাশিপাড়ার ব্লক নেতারা দাবি করেন, ওই সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে রাজ্য। এ বার তাতে সিলমোহর পড়ল।
এ প্রসঙ্গে এ দিন অশোক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দলটা করেছি। কিন্তু যেখানে সম্মান নেই সেখানে থেকে লাভ নেই। ওই পার্টি অফিস আমার তৈরি। যার জায়গা তাকে ফিরিয়ে দেব।” বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, “খবর পেয়ে আমি গিয়েছিলাম। সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। তার পরে অশোকের বাড়ি গিয়েও কথা বলে এসেছি। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, এটা ভুল কথা। আগামিকাল থেকে আবার সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।” অশোককে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আবেগের বশে কিছু কর্মী বিরোধিতা করছেন। তবে এই সব ঠিক হয়ে যাবে।” বর্তমান ব্লক সভাপতি কনিষ্ক চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করলে জানানো হয়, তিনি ‘ব্যস্ত’ আছেন।