দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে গত বুধবার রাতে তৃণমূলের দুই শিবিরের মারামারি।
তৃণমূলের ‘নবজোয়ার যাত্রা’য় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আগামী সপ্তাহে হওয়ার কথা কল্যাণী ব্লকের সগুনা পঞ্চায়েত এলাকায়। এর জন্য সেখানে বেশ কয়েকটি মাঠ দেখা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। কিন্তু সভার ঠিক আগে সগুনার কাটাবেলে এলাকায় দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে গত বুধবার রাতে তৃণমূলের দুই শিবিরের মারামারি, বোমাবাজি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে কল্যাণী ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব।
বুধবার রাত ন’টা নাগাদ সগুনার কাটাবেলে এলাকার দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে। মারামারির জেরে আহত দুই পক্ষের বেশ কয়েক জনকে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে (জেএনএম) নিয়ে আসা হয়। এক জন এখনও সেখানে চিকিৎসাধীনও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুই তরফই পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষের বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তবে মুখে কল্যাণী ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি পঙ্কজ সিংহ বলছেন, “ঝামেলা মিটে গিয়েছে। আর কোনও সমস্যা নেই।”
দলীয় সূত্রের খবর, সগুনা অঞ্চলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গীর মণ্ডল ও তৃণমূলের সগুনা অঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুতুবুদ্দিন মণ্ডলের বিরোধ সর্বজনবিদিত। মাঝেমধ্যেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরের কিছু কর্মী কুতুবুদ্দিনের শিবিরে যোগ দিয়েছে।
জাহাঙ্গীর শিবিরের অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে লোকজন বসেছিলেন। হঠাৎ কুতুবুদ্দিনেরা এসে দা, লোহার রোড দিয়ে মারধর করে দলীয় কার্যালয় দখল করতে চায়। তাতে তাঁদের সাত জন আহত হয়। জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, "কুতুবরা বোমাবাজিও করেছে।"
পাল্টা কুতুবুদ্দিন শিবিরের অভিযোগ, সগুনায় বুধবার দলের সভা ছিল। সভা সেরে ফেরার সময় কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন বিশ্রাম নিতে। কিন্তু তাঁদের চেয়ার কেড়ে নিয়ে বাজে ব্যবহার করতে শুরু করে জাহাঙ্গীরের লোক জন। তাতেই মারামারি শুরু হয়। জাহাঙ্গীরদের কয়েক জনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার ব্যবসার অভিযোগও তুলেছেন কুতুবুদ্দিন। অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করছে জাহাঙ্গী। আবার বোমাবাজি নিয়ে কুতুবুদ্দিন বলেন, "মিথ্যা অভিযোগ করছে ওরা।”