West Bengal Panchayat Election 2023

প্রার্থিতালিকা নিয়ে ক্ষোভ! মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের কেউ যাচ্ছেন কংগ্রেসে, কেউ হচ্ছেন নির্দল প্রার্থী

বুধবার সকালেই ঘোষিত হয় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা। তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায় জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকায় ঠাই হয়নি ৪ জন কর্মাধ্যক্ষের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ ২৩:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হতেই প্রকাশ্যে চলে এল ক্ষোভ! কেউ যোগ দিলেন কংগ্রেসে। দলের বিরুদ্ধে প্রতীক ছাড়াই লড়ার বার্তাই দিলেন অনেকে। দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে! তৃণমূলের অন্দরে ‘বিদ্রোহের’ আবহে জেলা জুড়ে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি কর্মী সমর্থক তাদের দলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি করতে শুরু করেছে কংগ্রেস।

Advertisement

বুধবার সকালেই ঘোষিত হয় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা। তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায় জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকায় ঠাই হয়নি ৪ জন কর্মাধ্যক্ষের। এ বার টিকিট পাননি জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি ঝর্না দাস, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কৃষ্ণেন্দু রায়, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন আনারুল। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফরাক্কায় খাতা খুলতে পারবে না তৃণমূল। দলের বিধায়ক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে টিকিট দেওয়ায় ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের যোগদানের জল্পনা জিইয়ে রাখেন জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি ঝর্না। খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নির্দল প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। নিজের অনুগামীরা টিকিট না পাওয়ায় নিজের প্রার্থিপদ ত্যাগ করেছেন ব্লক সভাপতি মকবুল হোসেন। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির স্তরে তালিকায় নাম থাকা একাধিক প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে দলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

দলের অভ্যন্তরে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ ও কংগ্রেসে যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায় বলেন, ‘‘যাঁরা যোগদান করছেন, তাঁরা কারা? তাঁদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলেই দল টিকিট দেয়নি। এদের দল ত্যাগে কোনও প্রভাবই পড়বে না।’’ অন্য দিকে, কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘তাসের ঘরের থেকেও দ্রুত গতিতে তৃণমূল ভেঙে পড়ছে। আগামী দিনে জেলায় তৃণমূলের পতাকা বাধার কেউ থাকবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement