জালের বুনোটে উধাও ইলিশ

জালের মধ্যে কিছু অংশ ফাঁকা রাখতে হবে। এটাই আইন। যাতে পরের মরসুমের জন্য কিছু মাছ থেকে যায়।

Advertisement

সূর্য্যেন্দু দে

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩৬
Share:

একটি মিন (চিংড়ির ডিম) ধরতে প্রায় ৪০-৫০টি ইলিশের ডিম নষ্ট হয়।

জাল ব্যবহারের নির্দিষ্ট কতগুলি নিয়ম আছে। তা না মানলে মাছের বংশ নিঃশেষ হতে সময় লাগবে না।
মনে রাখতে হবে, যেখানে জাল ফেলা হবে সেখানে সব মাছ যাতে জালে পড়ে না যায় খেয়াল রাখতে হবে সে দিকে। জালের মধ্যে কিছু অংশ ফাঁকা রাখতে হবে। এটাই আইন। যাতে পরের মরসুমের জন্য কিছু মাছ থেকে যায়।
জাল ব্যবহার করে মাছ ধরার আরও একটি নিয়ন আছে। জালের যে ফাঁক, যাকে ইংরেজিতে বলে Mesh এমন হবে যাতে সমস্ত মাছ জালে ধরা না পরে জালের ওই ফাঁক দিয়ে গলে যেতে পারে। এই নিয়মেরও একই উদ্দেশ্য, মাছেদের বংশ বৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া। যেমন ইলিশের ক্ষেত্রে সব থেকে প্রচলিত, ওই জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ওই জাল দিয়ে বেড়িয়ে যেতে পারে তেমন জালই ব্যবহার করা যাবে।
দেশি প্রজাতির রুই, কাৎলা, মৃগেল, পুঁটি, শিঙি, মাগুর, কই, চ্যাং, ল্যাটা, ট্যাংরা, মৌরলা— প্রায় হারিয়ে গেছে। অথচ মাছের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাছ যতই কমছে মাছ ধরার প্রযুক্তি ততই উন্নত হচ্ছে। এবং যার ফলশ্রুতি অত্যন্ত কম ফাঁকের জাল ব্যবহার, কাপড়ার জাল তেমনই একটি সর্বনাশা জাল।গবেষনায় ধরা পড়েছে একটি মিন (চিংড়ির ডিম) ধরতে প্রায় ৪০-৫০টি ইলিশের ডিম নষ্ট হয়। সঙ্গে ২৫০টি মতো অনামী মাছের ডিম নষ্ট হচ্ছে। এটা কপালে ভাঁজ ফেলার মতো ঘটনা। এর জেরেই গঙ্গা ও পদ্মায় ইলিশ হারানোর একটা প্রধান কারণ।

জলঙ্গি ব্লক এলাকায় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন— সর্বনাশা মশারি জাল বা কাপড়ার জাল ব্যবহার বন্ধ করুন। না হলে দুর্দিন সামনে।

লেখক মৎস্য গবেষক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement