—ফাইল চিত্র।
মোবাইল কিংবা হোয়াটস্অ্যাপে মেসেজ করে চাকরির টোপ। প্রথমে রেজিস্ট্রেশনের নামে সামান্য কিছু অর্থ দাবি। পরে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের নাম করে ধাপে ধাপে কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা। কল্যাণী এমস হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এক মহিলা ও দুই পুরুষ-সহ মোট তিন জনকে রবিবার সকালে কল্যাণী থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতদের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছেন কি না, জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, কল্যাণী এমসে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করা হত। রেজিস্ট্রেশনের নামে প্রথমে সামান্য কিছু টাকা চাওয়া হত চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের নাম করে ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেত টাকার অঙ্ক। শেষে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হত চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। ফাঁদে পা দিয়ে বহু যুবক-যুবতী টাকাও দেন। দীর্ঘ দিন ধরে পুলিশের কাছে এমন একাধিক অভিযোগ এলেও নির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় সে ভাবে এগোয়নি তদন্ত। সম্প্রতি এক যুবকের কাছে কল্যাণী এমসে টাকার বিনিময়ে চাকরির টোপ দিয়ে ফোন আসে। ওই যুবক বুঝতে পারেন, তাঁকে প্রতারণা করার ছক কষা হচ্ছে। তড়িঘড়ি তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। প্রতারকদের ধরতে জাল পাতে পুলিশ।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার মাত্র ৩ ঘণ্টার নিখুঁত পরিকল্পনায় তদন্তকারীদের ফাঁদে পা দিয়ে গ্রেফতার হন তিন জন। কল্যাণী এমস হাসপাতাল থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। ধৃত সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (৩৫) শিমুরালির বাসিন্দা। বাকি দু’জন বল্লভ কর এবং মৌসুমী দেবনাথ নদিয়ার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে আরও বড় কোনও চক্র রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।