পালপাড়া ভট্টাচার্য পরিবারের পুজো। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র।
চার দিকে ফাঁকা জায়গা। বসতি বলতে ছড়িয়েছিটিয়ে গুটিকয়েক বাড়ি। সেখানেই এক কৃপণ বৃদ্ধ বসবাস করতেন। তাঁর কার্পণ্যের কথা কারওর অজানা ছিল না। কিছু মানুষ সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরাই বৃদ্ধের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ফেলে আসবেন। সেই সিদ্ধান্ত মতো রাতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে প্রতিমা ফেলে আসেন। পর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই বৃদ্ধ দেখেন, কে বা কারা জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ফেলে রেখে গিয়েছেন। কোনও পথ না পেয়ে তিনি পুজো করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এমনই জনশ্রুতি জড়িয়ে রয়েছে এই পুজো ঘিরে। শোনা যায়, তিনি কয়েক বছর পুজো করেছিলেন। পরে স্থানীয় ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্য গণেশ ভট্টাচার্য এই পুজোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সেই থেকে তাঁরাই পুজো করেন। পুজো করার পর তাঁদের আর্থিক উন্নতি হতে শুরু করে। এ বারে ওই পুজো ১৭৫ বছর পদার্পণ করেছে। এখানে এক দিনের পুজো হয়। মঙ্গলবার নবমীর দিন, সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর পুজো হবে। দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। বিসর্জন দেওয়ার সময় পথে বিভিন্ন জায়গায় মহিলারা প্রতিমা দাঁড় করিয়ে বরণ করেন। সেখানে দেবীকে দেখতে ভিড় জমে যায়।
পূর্ব রেলের শিয়ালদহ রানাঘাট শাখার পালপাড়া রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে ২ মিনিটের হাঁটা পথে এই ভট্টাচার্য পরিবারের বসবাস। এখানেই মন্দিরে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। বৈষ্ণবমতে, পুজো হয়। ৩১ পদ দিয়ে পুজো দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্য অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুজোর সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে আত্মীয়েরা বাড়িতে আসেন। এই দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি।’’