Eid 2024

জেলায় কাজ কম, পরিযায়ীদের টাকাতেই জমেছে ইদের বাজার

মুর্শিদাবাদে পর্যাপ্ত কারখানা নেই, কৃষিকাজও সে রকম লাভদায়ক নয়। যার জেরে মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের পাশাপাশি বহু শিক্ষিত বেকার যুবক কাজের সন্ধানে বিদেশ বিভুঁইয়ে পাড়ি দিচ্ছেন।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৩৪
Share:

ইদের আগের পছন্দের টুপির খোঁজ। বেলডাঙায়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়ার কি শুধু নেতিবাচক দিক রয়েছে? পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা, জেলার ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়ার ইতিবাচক দিকও রয়েছে। বাড়ি থেকে বহু দূরে কাজে গিয়ে দিনের পর দিন পড়ে থাকলেও ভিন্ রাজ্যে আয়ের টাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে নবাবের জেলার গ্রামীণ এলাকায়।

Advertisement

মুর্শিদাবাদে পর্যাপ্ত কারখানা নেই, কৃষিকাজও সে রকম লাভদায়ক নয়। যার জেরে মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের পাশাপাশি বহু শিক্ষিত বেকার যুবক কাজের সন্ধানে বিদেশ বিভুঁইয়ে পাড়ি দিচ্ছেন। সেখানে দিন মজুরি বা রাজমিস্ত্রির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে মোটা টাকা আয় করছেন। তাঁরা সেই টাকা মুর্শিদাবাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আর পরিযায়ী শ্রমিকদের এই পাঠানো টাকায় জমে উঠছে স্থানীয় বাজারও। দুর্গাপুজো কিংবা ইদের সময় লক্ষ্য করা যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ির লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন বাজারগুলিতে। এ বারেও ইদের আগে গ্রামে গ্রামে ব্যাঙ্কে ভিড় জমাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনেরা। সেখান থেকে টাকা তুলে তাঁরা বাজার সারছেন। আবার যে সব পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরেছেন, তাঁরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাজার সারছেন।

মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, "মুর্শিদাবাদের আর্থিক উন্নয়নে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভূমিকাও যথেষ্ট। তাঁরা বিদেশ বিভুই থেকে অর্থ রোজগার করে বাড়িতে পাঠাচ্ছেন। যার ফলে জেলার উন্নয়ন হচ্ছে।" তাঁর দাবি, "এখন পরিযায়ী শ্রমিকেরা সহজেই অনলাইনে বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সেই টাকা তুলে ইদের বাজার সারছেন তাঁদের পরিবারের লোকজন। গত এক সপ্তাহ থেকে বহরমপুর থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ, ডোমকল, লালগোলা, হরিহরপাড়া, জঙ্গিপুর, কান্দি সর্বত্রই ইদের বাজার জমে উঠেছে।’’

Advertisement

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে বহরমপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তার কর্ণধার মতিউর রহমান বলেন, ‘‘এখানে কাজের সুযোগ থাকলে তো আর বাইরে যেতে হতো না। বাইরে গিয়ে লোকজন আয় করে টাকা বাড়িতে পাঠাচ্ছেন। সেই টাকা মুর্শিদাবাদের বাজারে খাটছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement