প্রতীকী চিত্র।
নার্সিংহোমের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় মাসখানেক আগে। তার পরও নিয়মের তোয়াক্কা না-করে তা রমরমিয়ে নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ক্লিনিকের লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়েছে ছ’মাস আগে। কিন্তু সেই ক্লিনিকও বন্ধ করা হয়নি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের নিষেধাজ্ঞাও মানা হয়নি বলে অভিযোগ।‘অদিতি নার্সিংহোম’ নামে ১০ শয্যার ওই নার্সিংহোম এবং সংলগ্ন ইউএসজি ক্লিনিকের মালিক বীরনগর পুরসভার চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ মান্না।ওই ইউএসজি ক্লিনিকের মেয়াদ ফুরিয়েছে চলতি বছরের ২৯ মার্চ। তিনি লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদনও করেন। কিন্তু পরিকাঠামো ঠিকঠাক না-থাকায় তা গ্রাহ্য হয়নি। সম্প্রতি তিনি আবার ইউএসজি সেন্টারের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। ৯ অক্টোবর সেই আবেদনের ভিত্তিতে পরিদর্শনে যান রানাঘাট মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক পুষ্পেন্দু ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গিয়েছে শুধু ইউএসজি সেন্টারই নয়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর অদিতি নার্সিংহোমের লাইসেন্সের মেয়াদও ফুরিয়েছে। পুষ্পেন্দুবাবু বলেন, “তা সত্ত্বেও ৯ অক্টোবরও ওই নার্সিংহোমে সিজার হয়েছে। আমরা নার্সিংহোম ও ক্লিনিক দু’টোই বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।”
কিন্তু লাইসেন্স ছাড়়া কেন এবং কী ভাবে ওই নার্সিংহোম ও ইউএসজি ক্লিনিকে কাজ হল? অনেকেরই মত, পুরসভার চিকিৎসক হওয়ার সুবাদে বেশ কিছু তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ মান্না এই সাহস দেখাতে পারছেন। রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য এর দায় চাপিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের উপরেই। তিনি বলছেন, “আমি সঠিক সময়েই আবেদন করেছিলাম। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি।” কিন্তু তা বলে লাইসেন্স ছাড়়া তিনি কেন নার্সিংহোম বা ক্লিনিক চালাবেন, তার কোনও সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। শুধু দাবি করেছেন, “আমাকে নার্সিংহোম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে নার্সিংহোমে আর রোগী ভর্তি হচ্ছে না। ইউএসজি করাও বন্ধ রাখা হয়েছে।” বীরনগর পুরসভার প্রাক্তন প্রধান তথা প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন পার্থ কুমার চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “আমাকে কেউ সরকারি ভাবে অভিযোগ জানাননি। লোকমুখে শোনার পর ওই নার্সিংহোম ও ইউএসজি সেন্টার বন্ধ রাখতে বলেছি।”