প্রতীকী ছবি।
চাকদহের পরে হাঁসখালি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার আরও এক বাসিন্দার। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বছর বাহান্নের ওই মহিলার বাড়ি হাঁসখালির বগুলা হাসপাতালপাড়া এলাকায়। গত ১৯ জুন কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি এত দিন চেপে রেখেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। কিন্তু এত দিনেও মহিলার খোঁজখবর না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁদের দাবি, পরিবারের লোকজনকে চেপে ধরলে তাঁরা অসলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। তাতে তাঁদের সন্দেহ আরও বাড়ে।
খবর পেয়ে ওই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন বগুলা হাসপাতালের সুপার বীরেন মজুমদার। তাঁর কাছেই পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্বীকার করে নেন। ডেথ সার্টিফিকেটও দেখান। মহিলা যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তা সেখানেই লেখা ছিল স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পরে পরিবারের লোকজন ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বগুলা হাসপাতালের এক চিকিৎসক, এক নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী মিলিয়ে মোট ১২ জনের। পরিবারটিকে গৃহ নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে। কেন তাঁরা বিষয়টি চেপে গেলেন, সে ব্যাপারে বাড়ির কেউ কোনও কথা বলতে চাননি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ১৫ জুন ব্রেন স্ট্রোকের উপসর্গ-সহ বগুলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই মহিলাকে। সেখান থেকে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়। মহিলার স্বামী সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন বলে তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঠিক কী ভাবে তিনি সংক্রমিত হলেন তা পরিষ্কার নয়। মঙ্গলবার রাতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই মহিলার সংস্পর্শে এসেছেন এমন সকলেরই লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”