প্রতীকী ছবি।
পেসমেকার, হাতের বালা আর পরনের জামাপ্যান্ট দেখে নিখোঁজ উজ্জ্বল ঘোষের দেহ শনাক্ত করলেন পরিবারের লোকজনেরা।
বুধবার দুপুরে হুগলির চুঁচুড়া হাসপাতালে গিয়ে দেহ তাঁরা শনাক্ত করেন মৃতের বাবা দুলাল ঘোষ, মা মেনকা ঘোষ এবং জামাইবাবু রণজিৎ দেবনাথ। মঙ্গলবার রাতে রানাঘাট থানা থেকে তাঁদের জানানো হয়, চুঁচুড়া হাসপাতালের মর্গে একটি অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ রয়েছে। সেটা চিহ্নিত করতে যেতে হবে। সেই মতো এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ তাঁরা হাসপাতালে যান। দেহ শনাক্ত করেন।
উজ্জ্বলের জামাইবাবু রণজিৎ দেবনাথ বলেন, “দেহ দেখে চেনার উপায় ছিল না। কয়েকটি জিনিস দেখে দেহ শনাক্ত করা হয়েছে।’’
চুঁচুড়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসের ৬-৭ তারিখে হুগলির চুঁচুড়ায় জেল লাগোয়া এক ঘাটের কাছে একটি দেহ মেলে। সেদিনই দেহের ময়না তদন্ত হয়। কিন্তু পরিচয় না মেলায় সেই থেকে দেহটি চুঁচুড়া হাসপাতালের মর্গে পড়েছিল।
এ দিকে পুলিশ ওই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। মঙ্গলবার রাতে রানাঘাটের সাহেবডাঙা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল মোট চার। পুলিশের দাবি, জেরায় বিশ্বজিৎ জানিয়েছে উজ্জ্বলকে মেরে ভাগীরথী নদীতে ফেলে দিয়েছিল এলাকার কয়েকজন।
বুধবার ধৃত বিশ্বজিৎকে রানাঘাট আদলতে হাজির করা হয়। বিচারক তাঁকে তিন দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষের আইনজিবী প্রদীপকুমার প্রামাণিক বলেন, “তাকে জেরা করে আর কিছু তথ্য পাওয়া যাবে। সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের জন্য তাদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়, তবে বিচারক তিন দিনের জন্য মঞ্জুর করেছেন।”
আইশতলা রামনগরের উজ্জ্বল ঘোষ, তাঁর জামাইবাবু এবং জনা চার বন্ধুকে নিয়ে জামাইষষ্ঠীর দুপুরে বেরিয়েছিল গঙ্গা-স্নানে। বাড়ি থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে সাহেবডাঙায় ভাগীরথী নদীতে স্নান সেরে ফেরার সময়ে উজ্জ্বলের বন্ধুরা কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন। জামাইবাবুকে নিয়ে তিনি একটি মিষ্টির দোকানে ঢোকেন। সেই দোকানে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে বচসার জেরে শুরু হয় হাতাহাতি। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। জেলা পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া এই দিন বলেন, “বাড়ির লোকেরা যুবকের দেহ শনাক্ত করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”