থানা থেকে পালাল পুলিশ হেফাজতে থাকা এক আসামি। সোমবার সকালে শান্তিপুর থানার ঘটনা। এ দিন হাজত থেকে তাকে বের করার সময় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে আচমকা ধাক্কা মেরে হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায় শৈলেন ঘোষ নামে ওই আসামি। পুলিশকর্মীরা ধাওয়া করলেও তাকে ধরা যায়নি। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনা বলেন, ‘‘রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। ওই সময় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার ও রক্ষীকেও বরখাস্ত করা হবে।’’
থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় শৈলেনকে। শুক্রবার তাকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। সেই মতো শৈলেন পুলিশ হাজতেই ছিল। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ আচমকা শৈলেন হাজতের ভিতরে বুক চেপে ধরে কাতরাতে থাকে। বুকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে বলে জানায়। চিকিৎসার প্রয়োজন মনে করে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তাকে হাজত থেকে বের করতেই আচমকা ধাক্কা দিয়ে হাত ছাড়িয়ে পালায় সে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নকল অ্যাডমিট কার্ড ও নিয়োগপত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এ ছাড়াও ডিআইজি বা ওই পর্যায়ের একাধিক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে তার ছবিও মেলে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পারে, কম্পিউটারের সাহায্যে তৈরি ওই সব ছবি বেকার যুবকদের দেখিয়ে তাঁদের আস্থা অর্জন করত। তারপরে পুলিশে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা আদায় করত। তাঁদের জাল নিয়োগপত্রও দেওয়া হত। নদিয়া ও বর্ধমানের একাধিক এলাকায় প্রচুর যুবককে সে এইভাবে প্রতারিত করেছে। সেই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ফুলিয়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর ঘোষ শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।