ধৃত দুই টেট পরীক্ষার্থী। —নিজস্ব চিত্র।
পরীক্ষার পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে চারটিতে প্রস্তুতি ভালই। ‘কিন্তু কিন্তু’ ছিল অঙ্কে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-য় উত্তীর্ণ হতে অঙ্কে নম্বর পাওয়া জরুরি। তাই বন্ধুর অঙ্কের সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এলেন অন্য বন্ধু। সাহায্য নিলেন ‘হাইটেক প্রযুক্তি’র। মোবাইল এবং ন্যানো ট্রান্সমিটারের সাহায্যে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরের ‘বিশেষজ্ঞ’দের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে একের পর এক প্রশ্নের সমাধান করে নিচ্ছিলেন যুবক। সমাধান করা সেই উত্তর পৌঁছে দিচ্ছিলেন অঙ্কে দুর্বল বন্ধুকে। এই ভাবে প্রথম ঘণ্টা কেটেছে। টেট দারুণ চলছে। আচমকা পরীক্ষকের নজরে পড়ে গেল দুই চাকরিপ্রার্থীর কাণ্ডকারখানা। মোবাইল এবং ডিভাইস সমেত গ্রেফতার করা হয় নদিয়ার দুই পরীক্ষার্থীকেই। ধৃতদের সোমবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে এক জনের নাম সন্দীপ কুটি এবং অন্য জন দেবাশিস মৃধা। দু’জনেরই বাড়ি নদিয়ার ধানতলা থানার বহিরগাছি এলাকায়। তাঁরা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। দুই বন্ধু পরীক্ষা দিতে ঢোকার সময় একে অন্যকে সাহায্য করবেন বলে জানান। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। স্কুলের শিক্ষাকর্মীরা মোবাইল-সহ তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ধৃতদের মধ্যে দেবাশিস অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর কাছে মোবাইল ছিল না। মোবাইল ছিল তাঁর বন্ধুর কাছে। অন্য দিকে, সন্দীপ বলেন, “আমি তো সাহায্য করতে গিয়েছিলাম ওকে। তাই মোবাইল নিয়ে ঢুকেছিলাম। শিক্ষকরা দেখতে পেয়ে যান।” সোমবার ধৃত ওই চাকরিপ্রার্থীদের কোতোয়ালি থানার পুলিশ আদালতে তোলে।