বাড়িতে চড়াও হয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে আসবাব। মারধর করা হয়েছে তাঁর স্ত্রীকেও। তবু হাত গুটিয়ে বসে আছে পুলিশ। জমির দখল নিয়ে শরিকি বিবাদের জেরে, চাপড়ার ওই স্কুলশিক্ষকের উপরে চাপ তৈরি করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও।
আর সে অভিযোগ নিয়ে সটান নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও দেখা না পেয়ে হতাশ সারিফুদ্দিন মোল্লা নামে ওই স্কুল শিক্ষক। তবে, হাল ছাড়ছেন না তিনি। বলছেন, “পুলিশ যদি কোনও পদক্ষেপ না করে তা হলে ফের নবান্নে যাব।”
চাপড়ার বানিয়াখড়িতেই বাড়ি ওই শিক্ষকের। বেশ কয়েক বছর ধরে তার পরিবারের সঙ্গে শরিকি জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ চলছে তাঁরই নিকটআত্মীয় আকবর মোল্লার। গত কয়েক বছরে কখনও মারধর করে ওই শিক্ষকের বাবার পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, কখনও বা ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাড়িতে। অভিযোগ, সম্প্রতি হাত পড়েছে তাঁর স্ত্রীর গায়েও। তবে চাপড়া থানার পুলিশ ‘নীরব’। এমনকী, ২০১৩ সালে তাঁকে অপহরণেরও চেষ্টাও হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত আকবর শাসক দলের স্থানীয় নেতা হওয়ায় পুলিশও তাদের সঙ্গ দিচ্ছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আকবর। তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলে সামান্য বুথ সভাপতি। এতবড় নেতা নই যে পুলিশ আমার কথা শুনবে। আসলে ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে বুঝতে পেরেই পুলিশ গা করেনি।’’
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের রুকবানুর রহমান অবশ্য বলেন, “দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কোন কাজ করলে আমরা মেনে নেব না।’’