শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র
রাজ্য সরকার বিক্ষোভ মোকাবিলায় সংযম দেখানোর ফলেই এ রাজ্যে নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভে মৃত্যুর ঘটনা নেই। অথচ উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সুতিতে এক দলীয় সভায় এসে রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এমনই দাবি করেন।
এ দিন সুতিতে নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভের আঁচে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দলের তরফে আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে যারা ভাঙচুর চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। যাঁদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা সকলেই নিতান্তই অসহায়। আমরা সকলেরই পাশে দাঁড়াব। তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ত্রিপল, চাল, শীতবস্ত্রও।’’ আগামী দিনে তিনি এধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে সকলকে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান।
এ দিন, লালগোলায় সভা করেন বহরমপুরে কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কেন্দ্রের বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানে বলা আছে ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। কিন্তু এখন যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন তাঁদের বৈধ কাগজপত্র থাকুক আর না থাকুক তাদের নাগরিত্ব দেওয়া হবে আর যারা এই দেশে জন্মাল, পড়াশোনা করল খেতে ফসল ফলিয়ে সকলকে খাওয়াল তাদেরই বলছে এ দেশে থাকতে দেব না, এটাই তো বিজেপির রাজত্ব।’’