রঘুনাথগঞ্জে শুভেন্দু অধিকারী।
এন আর সি’র জুজু দেখিয়ে ফয়দা লোটা দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারি ভাবেই আবেদন জানালেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মুর্শিদাবাদের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় নথিপত্র তৈরির নামে তাদের বাড়বাড়ন্তের কথা যে কানে এসেছে তাঁর, রঘুনাথগঞ্জের ম্যকেঞ্জি ময়দানে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের উদ্ধোধন করতে এসে তারই ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন মন্ত্রী। এআরসি’র আতঙ্কে এক শ্রেণীর দালালচক্র যে সক্রিয়, শুভেন্দুর কথায় তা সরকারি সিলমোহর পড়ল। এ দিন মন্ত্রী বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ এনআরসি নিয়ে বিচলিত হয়ে সরকারি অফিসগুলোতে ছোটাছুটি করছেন। তার সুযোগ নিচ্ছেন দালালেরা। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।”
এ দিন রঘুনাথগঞ্জে ওই সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়াও দলীয় কর্মীদের নিয়ে স্থানীয় রবীন্দ্রভবনে বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেকানেও দলীয় কর্মীদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন ‘‘এ ব্যাপারে মানুষের পাশে থাকতে হবে। সবরকম ভাবে তাঁদের সাহায্য করতে হবে।’’
তিনি ধরিয়ে দেন, অন্য এলাকা থেকে এলেও জনপ্রতিনিধিরা যেন তাঁদের শংসাপত্র দিতে কোনও কার্পন্য না করেন। মঞ্চে উপস্থিত সাংসদ ও মন্ত্রীকে দেখিয়ে তিনি জানিয়ে দেন সে কথা। জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন ও সাংসদ খলিলুর রহমান দুজনেই বহিরাগত। জাকির থাকেন সুতির অরঙ্গাবাদে, খলিলুর শমসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। স্বভাবতই জঙ্গিপুরের সাধারন মানুষকে তাঁদের শংসাপত্র পেতে নাকাল হতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। রবীন্দ্রভবনে দলীয় সভায় তাই এনআরসি’র আবহে নেতা ও কর্মীদের তিনি বলেন, “নিজের সংসদীয় এলাকায় নিজের অফিস খুলুন, প্রয়োজনে হোলটাইমার রাখুন। মানুষ যেন হয়রান না হয়। তার জন্য চোখ বন্ধ করে তাদের শংসাপত্র দিন। মানুষকে অবিশ্বাস করবেন না।’’