আদালত থেকে সংশোধনাগারে যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে। ফাইল চিত্র।
আদালতে চত্বরেই প্রয়াত কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর বাবা স্বাধীন চৌধুরীকে দেখে চোখ পাকিয়ে মারতে যেতে উদ্যত হল সুতপা খুনে এক মাত্র অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। সোমবার দুপুরে বহরমপুরে সাক্ষী দিতে জেলা বিচারকের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন সুতপার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অনিন্দ্য গোস্বামী। উপস্থিত ছিল সুশান্তও। সাক্ষ্য পর্ব মিটতে আদালত থেকে সংশোধনাগারে যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশি প্রহরায় অপরাধীর এই রকম নজিরবিহীন আচরণে হতবাক আদালত চত্বরে উপস্থিত সকলে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়ে সুতপার বাবা বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে এ দিন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব অবশ্য ছিল শান্তিপূর্ণই।
এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে বিচারককে চিকিৎসক জানিয়েছেন, সুতপার শরীরে তিনি ৪৫টি ক্ষতচিহ্ন দেখতে পেয়েছেন। যার অধিকাংশই হয়েছে কোনও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে। সুশান্তর কাছ থেকে পুলিশ যে ছুরি বাজেয়াপ্ত করেছিল, তা সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় চিকিৎসককে দেখালে তিনি বলেন, ওই ধরনের ছুরির আঘাতে এমন ক্ষত হওয়া সম্ভব।
চিকিৎসকের এই দাবিতে অবশ্য এ দিন আদালতে আপত্তি জানান সুশান্তের দুই আইনজীবী পীযূষ ঘোষ ও আবু বাক্কার সিদ্দিকি। ঈষৎ বাঁকা প্রায় চার ইঞ্চির সেই ছুরি ভরা আদালত এ দিন প্রত্যক্ষ করে।
তবে ওই চিকিৎসক এ দিন আদালতকে জানান, আত্মরক্ষার্থে সুতপা সুশান্তকে পরাস্ত করার যে চেষ্টা করেছিল সেই আঘাতও স্পষ্ট ছিল।