বহরমপুরে সুকান্ত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
বহরমপুর কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর গড় বলে পরিচিত। সেই বহরমপুর থেকে বিজেপির সাংসদ পাঠানোর জন্য দলীয় কর্মীদের তৈরি হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার বিকেলে বহরমপুর শহরের টেক্সটাইল মোড়ে জনসভায় সুকান্ত বলেন, ‘‘আপনারা তৈরি হোন। অধীরদার হাতে এই লোকসভা অনেকদিন ছেড়ে রেখেছেন। এবারে মোদীর সাংসদ যাবেন এই বহরমপুর লোকসভা থেকে, তার জন্য প্রস্তুতি নিন। গ্রামে গঞ্জে সংগঠনকে শক্তিশালী করুন।’’ এভাবেই কার্যত লোকসভা ভোটের প্রচার করে গেলেন সুকান্ত। সুকান্ত বলেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম অধীরদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন। এতদিন লড়লেন। এখন কী হল অধীরদা। আপনার বাংলার পাপ্পু আর দিল্লির পাপ্পু দুজনে মিলে হাত ধরে এক সাথে প্রাতঃরাশ করছে।’’
এদিন সুকান্ত বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এখানকার চেয়ারম্যান গোটা শহরে পুকুর ভরাট করে অট্টালিকা করছেন। কর্মীদের বলব আপনারা কাগজপত্র জোগাড় করে দিন। মামলা করে ব্যাটাকে কীভাবে আটকাতে হয় তা জানা আছে।’’ যদিও নাডুগোপাল বলেন, ‘‘বিজেপি বহরমপুরে অপ্রাসঙ্গিক দল। বহরমপুর পুরসভা কী কাজ করছে তা নাগরিকেরা জানেন।’’ রাজ্যে দুর্নীতির তদন্তে ইডি,সিবিআইয়ের হাল এবং আদালতে তাদের ভর্ৎসনার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির ‘সেটিং’-এর পাল্টা অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ের বক্তব্য, ‘‘লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা অধীরবাবু। তাঁর কথার জবাব দিতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের হাঁটু কাঁপে! সুকান্তবাবু এমন কোন খেতের মালি যে, তাঁর কথার জবাব অধীরবাবুকে দিতে হবে! এর জন্য আমরাই যথেষ্ট।’’