Power Outage

ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কষ্ট বাড়ছে

বিক্রেতাদের দাবি, ফ্যানের ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা নেই। বিক্রি করলেই দায় শেষ। কিন্তু এসি বিক্রি করার পরে তা ইন্সটল করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে এবং দক্ষ কারিগর লাগে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৪ ০৭:০৭
Share:

প্রচণ্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে ফ্যানের। ডোমকলে। — নিজস্ব চিত্র।

প্রবাদ আছে কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে সাধারণ মানুষের সর্বনাশ হলেও পৌষ মাস এখন পাখা বা বাতানুকূল যন্ত্রের বিক্রেতাদের। বাজারের অন্য দোকানপাটে যখন মাছি তাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা, তখন ফ্যান, এসি, কুলার বিক্রেতাদের ঘাম ঝরছে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে। বিক্রেতাদের দাবি, ফ্যানের ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা নেই। বিক্রি করলেই দায় শেষ। কিন্তু এসি বিক্রি করার পরে তা ইন্সটল করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে এবং দক্ষ কারিগর লাগে। আর সেটা করতে গিয়েই রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। কারণ হঠাৎ করেই এত বেশি এসি ইন্সটল করার মতো কারিগর তাঁদের হাতে নেই। আর ফ্যান বিক্রেতাদের দাবি, সিলিং ফ্যান নয়, দিন কয়েক থেকে টেবিল ফ্যান এবং হাই স্পিডের বড় স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।

Advertisement

দিন কয়েক থেকেই অসহ্য গরম দেখা দিয়েছে এলাকায়। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে লো ভোল্টেজ, লোডশেডিং। বিদ্যুৎ দফতর কর্মীদের দাবি, হঠাৎ করেই এত এসি এবং হাই স্পিড স্ট্যান্ড ফ্যানের চাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা।

ডোমকলের এক বিদ্যুৎ সরঞ্জাম বিক্রেতা শামিম খান বলেন, ‘‘দিন কয়েক থেকেই হাই স্পিড স্ট্যান্ড ফ্যান এবং টেবিল ফ্যানের চাহিদা চরমে উঠেছে।’’ ডোমকল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আফাজুদ্দিন বিশ্বাস বলছেন, ‘‘বাজারে ফ্যান বিক্রেতা আর আইসক্রিম বিক্রেতাদের পোয়া বারো। বাদবাকি সব দোকানপাটেই মাছি তাড়াতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।" ডোমকলের এসি বিক্রেতা গাজীউর রহমান বলছেন, ‘‘যে ভাবে এসি বিক্রি হচ্ছে সেটা কল্পনার বাইরে। যত এসি বিক্রি হচ্ছে সেই মতো পর্যাপ্ত ইনস্টল করার কারিগর হাতে নেই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement