Jalangi River in Danger

জলঙ্গি বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পড়ুয়াদের

কৃষ্ণনগর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে জলঙ্গি নদী। কৃষ্ণনগর সদর ও তেহট্ট মহকুমার একটা বিরাট অংশের মানুষকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে এই নদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২৭
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

এ যেন অস্তিত্ব হারানোর ঠিক আগের অবস্থা। একটু একটু করে মজে যাচ্ছে একদা কল্লোলিনী জলঙ্গি। কোথাও নদীখাত বুজিয়ে তৈরি হয়েছে রাস্তা। কোথাও নদীর বুকে বাঁধাল দিয়ে লুট হচ্ছে মাছ। সঙ্গে দোসর বেলাগাম দূষণ। চুরি যাচ্ছে নদীপাড়ের মাটি। এ সব বন্ধ করে জলঙ্গিকে তার স্বাভাবিক প্রবাহে ফেরাতে কয়েক বছর ধরেই অক্লান্ত লড়াই চালিয়া যাচ্ছে একাধিক সংগঠন।

Advertisement

এ বার সেই লড়াইয়ে সামিল প্রায় আড়াই হাজার কিশোর-কিশোরী। প্রিয় জলঙ্গিকে বাঁচাতে তারা হাতে তুলে নিল তুলি ও কলম। পোস্ট কার্ডে কেউ আঁকল ছবি। কেউ লিখল কবিতা। যার মূল সুর জলঙ্গিতে বাঁচানোর করুণ আর্তি। যা পাঠানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আশা, আগামী প্রজন্মের এই বার্তা পেয়ে রাষ্ট্রপ্রধানরা নিশ্চয়ই জলঙ্গিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন।

কৃষ্ণনগর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে জলঙ্গি নদী। কৃষ্ণনগর সদর ও তেহট্ট মহকুমার একটা বিরাট অংশের মানুষকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে এই নদী। কৃষি সেচ থেকে শুরু করে নিকাশি, মৎসজীবী থেকে শুরু করে নদীপাড়ের সাধারণ মানুষ সকলেই এই নদীকে ঘিরে বাঁচেন। কিন্তু তাঁদের একাংশের অজ্ঞানতায় দীর্ঘ দিনের অত্যাচারের কারণে জলঙ্গি আজ অস্তিত্ব সংকটে। জলঙ্গিকে বাঁচাতে বেশ কয়েক বছর ধরে একাধিক সংগঠনের মাধ্যমে কৃষিজীবী থেকে মৎসজীবী সহ সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছেন।

Advertisement

‘নদীর জন্য ভোট’ স্লোগান তুলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে শুরু করে সাইকেল র‌্যালি, ছবি আঁকা থেকে নাটক, নদী সম্মেলন, প্রশাসনের কাছে স্বারকলিপি দেওয়া-সহ একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে নদী বাঁচাও আন্দোলন দানা বেঁধেছে। এ বার তাতে নব সংযোজন স্কুলপড়ুয়াদের অংশগ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে নদী বাঁচানোর জন্য আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখছে তারা। জলঙ্গি বাঁচাতে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ‘সেভ জলঙ্গি’ সংগঠনের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কৃষ্ণনগর, তেহট্ট এলাকার বেশ কিছু স্কুল এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। সংগঠনের তরফে এই সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের হাতে পোস্টকার্ড তুলে দেওয়া হচ্ছে। সেই পোস্টকার্ডে কেন তারা জলঙ্গিকে বাঁচাতে চায় তা জানিয়ে ছবি আঁকছে, কেউ লিখছে ছড়া। ওই সমস্ত পোস্টকার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানায়।

সংগঠনের সভাপতি চিকিৎসক যতন রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা আড়াই হাজার পোস্টকার্ড বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিয়েছি। তারা নিজেদের মতো করে নিজেদের ভাষায় প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জলঙ্গিকে বাঁচানোর আবেদন জানাচ্ছে। আশা করছি ওদের এই আবেদনে রাষ্ট্রপ্রধানরা সাড়া দেবেন। নদীটাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement