অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। ডোমকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্রের নাম জিয়াউল হক (২২)। বাড়ি মালদহের রতুয়ায়। রবিবার সকালে ভাড়ার ঘর থেকে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, ডোমকল পুরনো বিডিও মোড় এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই ছাত্র। সম্ভবত, শনিবার রাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। রবিবার সকালে বাড়ির মালিক জানালা দিয়ে দেহটি দেখে পুলিশে খবর দেন। ওই ছাত্রের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়াউল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ভর্তি হলেও দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পর থেকে তাঁকে কলেজে আসতে দেখা যায়নি। অবসাদ থেকে ওই পড়ুয়া নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ওই ছাত্রের অভিভাবকদের জানিয়েছিলেন। তারপর থেকে ওই ছাত্র আর কলেজমুখো হননি।
ওই ছাত্র প্রথমে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হলেও পরে তা বদলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। তাঁর সহপাঠীদের দাবি, প্রথম থেকেই ওই পড়ুয়া নানা রকমের অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। তাঁর চিন্তার কোনও স্থিরতা ছিল না। কখনও হস্টেলে আবার কখনও বা ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ক্লাসেও তিনি তিনি নিয়মিত আসতেন না। পরবর্তীতে ওই পড়ুয়া অতিরিক্ত নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সহপাঠী এবং বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়।
ডোমকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের রেজিষ্ট্রার বাইজিদ হোসেন বলেন, ‘‘ওই ছাত্র প্রায় ছ’মাস ধরে কলেজ আসছিলেন না। ফলে ওঁর সঙ্গে কলেজের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। আমরা এ দিন পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে দেহটি শনাক্ত করেছি মাত্র।’’