খুনের জায়গার ছবি তুলছে পুলিশ। ইনসেটে, লিপিকা মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
ডান হাতের একটা অংশ শরীর থেকে কেটে আলাদা হয়ে গিয়েছে। মাথা এবং দেহের একাধিক অংশে গভীর আঘাতের চিহ্ন। রক্তাক্ত অবস্থায় চাষের জমিতে পড়েছিল বছর আঠারোর কিশোরী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
নিহত কিশোরীর নাম লিপিকা মণ্ডল। সে চাকদহ বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার দুপুরে চাকদহ থানার খামারপাড়া এলাকায় এক মাঠে লিপিকাকে তার মায়ের ‘বন্ধু’ সুজিত বিশ্বাস কুপিয়ে খুন করেছে এবং ঘটনাস্থলে লিপিকার মা সুন্দরী মণ্ডলও উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত সুজিত বিশ্বাস পলাতক। লিপিকার কাকা খুনের মামলা দায়ের করেছেন। সুন্দরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
চাকদহ ব্লকের দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খামারপাড়া এলাকায় বাড়ি লিপিকাদের। সে বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। ছোটবেলায় বাবা মারা যান। তাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পেশায় দিনমজুর সুজিত বিশ্বাসের বাড়ি। তার স্ত্রী নেই। লিপিকার মায়ের সঙ্গে সুজিতের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। লিপিকার জেঠিমা কানন মণ্ডল এ দিন বলেন, ‘‘মায়ের জন্য মেয়েকে খুন হতে হল। ওর বাবাও বিষ খেয়ে মারা গিয়েছিল। মায়ের সঙ্গে সুজিতের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না মেয়ে। প্রতিবাদ করেছিল। তাই পথের কাঁটা সরাতে লিপিকাকে খুন করা হয়েছে। মেয়েকে খুন করতে দেখেও মা বাধা দেয়নি।’’
বুধবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে জমিতে সর্ষে তুলতে গিয়েছিল লিপিকা। সেখানে মায়ের সামনেই সুজিত তাকে কোপায় বলে অভিযোগ। লিপিকার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তত ক্ষণে চম্পট দেয় সুজিত।