—প্রতীকী চিত্র।
মোবাইল নিয়ে ঝগড়া শুরু করেছিল দুই যমজ বোন। এক বোন মোবাইল ছাড়িয়ে নিতে অন্য জন রাগে-অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল। সোমবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম দিশা বিশ্বাস। ১০ বছরের মেয়েটি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শোকস্তব্ধ মৃতার পরিবার। মোবাইল থাকবে কার হাতে, তা নিয়ে ঝগড়া যমজ দুই বোনের। মোবাইল না পেয়ে ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার কাদাঘাটা এলাকায় বাড়ি দিশার। তারা যমজ বোন। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় দুই বোন মোবাইলে ‘গেম’ খেলছিল। হঠাৎই দিশার কাছ থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেয় তার দিদি। বার বার মোবাইল চেয়ে চিৎকার করে ছোট্ট দিশা। দিদি সেটা দিতে চায়নি। এর পর হঠাৎ করে সেখান থেকে উঠে গিয়ে একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় দিশা। পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করে মেয়ের সাড়া পাননি। বাধ্য হয়ে তাঁরা ঘরের দরজা ভাঙেন। ঘরে ঢুকে ছোট্ট মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চমকে যান সকলে। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতার কাকা প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘দুই বোন একসঙ্গে মোবাইল নিয়ে প্রতি দিন খেলে। কিন্তু সামান্য মোবাইল নিয়ে যে এত বড় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে তা কেউ ভাবতে পারিনি।’’ এই ঘটনায় কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’