প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাঁদের বলা হয়েছে বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকতে। অথচ পাড়ার লোক তাঁদের ভাড়া বাড়িতেই ঢুকতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এমন অদ্ভুত সমস্যায় পড়ে মঙ্গলবার দিশেহারা হয়ে পড়েন বহরমপুর কলেজের এক শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা।
অসুস্থ মা কে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে ঢুকতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁধার মুখে পড়তে হলো এক শিক্ষক পরিবারকে। ঘটানাটি ঘটেছে নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরির এলাকার থানা পাড়ায়। ওই অধ্যাপকের বাড়ি মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরে। তাঁর স্ত্রী নাকাশিপাড়ার একটি স্কুলে অস্থায়ী শিক্ষক। বেথুয়াডহরির একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। দুই মাস আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই শিক্ষকের মা। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলে। মঙ্গলবার তাঁরা ফেরেন।
এ দিন দুপুরে বেথুয়াডহরির স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর মা ও ছেলেকে চিকিৎসকেরা গৃহবাস বা হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। অভিযোগ, তিনি মা-কে নিয়ে পাড়ায় ঢুকতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন এবং বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ফলে, টানা প্রায় চার ঘণ্টা হাসপাতালে অসুস্থ মা-কে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রেও যেতে চাইছিলেন না মায়ের অসুস্থতার কথা ভেবে। বলেন, ‘‘মা সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী। তাঁকে ঠিকঠাক ভাবে রাখার মতো পরিকাঠামো কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাব না। বাড়িতে রেখে তাঁর সেবা করা উচিৎ, কিন্তু পাড়ার লোক কোনও কথা শুনছেন না। কী করব বুঝতে পারছি না।’’
কোনও দায়িত্ব নিতে চায়নি স্বাস্থ্য দফতরও। নাকাশিপাড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সমীর আচার্য বলেন, ‘‘ওঁকে হোম-কোয়রান্টিনে থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভাড়া বাড়িতে ওঁকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।’’ শেষ পর্যন্ত ওই পরিবার কুবেরনগরে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়ি চলে যায়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বেথুয়াডহরির কলেজ কোয়রান্টিন কেন্দ্র হবে বলে শোনা যেতেই স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার বিক্ষোভ করেন। কালীগঞ্জের পলাশি আশাপাড়া গ্রামের দশ জন পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের আলাদা থাকার দাবি জানান।