প্রতীকী ছবি।
এই মরসুমে ফের সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করছে রাজ্য সরকার। আজ, মঙ্গলবার থেকেই বাকি সব জেলার মতো নদিয়াতেও সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে কবে ধান বিক্রি করতে চান, তা ঠিক করবেন চাষিরাই।
নদিয়া জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় দুই লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। খাদ্য দফতর, ইসিএসসি (অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম), বেনফেড ও কনফেড মিলিয়ে এই ধান কিনবে। জেলার ১৮টি ব্লকের ২২টি কিসান মান্ডি থেকে সরকার সহায়ক মূল্যে ধান কিনবে। এর মধ্যে ১৯টি খাদ্য দফতর সরাসরি চালাবে। এ ছাড়া পলাশি, শান্তিপুর ও ধুবুলিয়ার তিনটি মান্ডি থেকে ইসিএসসি ধান কিনবে। মান্ডি ছাড়াও বহু কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি ও মহিলা পরিচালিত সঙ্ঘ বা সমবায় চাষিদের থেকে ধান কিনবে।
দফতর সূত্রের খবর, এই বছরই প্রথম চাষি নিজে ঠিক করবেন তিনি কবে ধান বিক্রি করবেন সরকারের কাছে। এতে চাষিদের হয়রানি অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কালীগঞ্জের চাষি কাদের কাজি বলেন, "প্রতি বছরই ধান বিক্রি করতে গিয়ে দিনক্ষণ ঠিক করতে গিয়ে সমস্যা হয়। চাষি নিজেই দিন নির্ধারণ করতে পারলে খুব সুবিধা হবে।"
খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ধানের সহায়ক মূল্য ছিল কুইন্টাল পিছু ১৯৪০ টাকা। এ বছর তা ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০৪০ টাকা। এর সঙ্গে মান্ডিতে ধান আনা বাবদ অতিরিক্ত ২০ টাকা করে দেওয়া হবে। গত বছর জেলা ১২টি ধানকল ধান কিনত। তার মধ্যে তিনটি ধানকল পরিকাঠামোর ঘাটতির কারণে এখনই ধান কিনবে না বলে ঠিক হয়েছে। বাকি ন’টি ধানকল ধান কিনবে। ধান কেনার ক্ষেত্রে ফড়ের উৎপাত রুখতে আচমকা পরিদর্শন ও মাস্টার রোল পরীক্ষা করা হবে দফতরের কর্তারা আশ্বাস দিচ্ছেন। তা ছাড়া তাঁদের মতে, যেহেতু চাষি নিজেই ধান বিক্রির দিনক্ষণ ঠিক করছেন, তার ফলেও এ বার ফড়েদের উৎপাত কমবে।
নদিয়া জেলা রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মহাদেব সাহা বলেন, "আজ থেকেই ধান কেনা শুরু হচ্ছে। এ বছর যাতে ফড়েরা এই প্রক্রিয়ায় ঢুকতে না পারে তার জন্য সংগঠন আলাদা করে নজর রাখবে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি।" নদিয়া জেলা খাদ্য নিয়ামক অভিজিৎ ধাড়া বলেন, "ফড়েদের আটকাতে আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। চাষিরা যাতে সহজে ধান বিক্রি করতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”