সৌমিক হোসেন। —ফাইল চিত্র।
সাজানো মঞ্চে চাঁদের হাট। জেলার তাবড় তৃণমূল নেতৃত্ব হাজির সেখানে। শুধু তিনি নেই!
মঙ্গলবার বিকেলে ডোমকল জনকল্যাণ ময়দানে তৃণমূলের এনআরসি বিরোধী প্রতিবাদ সভায় তাঁকে, নাহ কোথাও দেখা যায়নি। কানায় কানায় পূর্ণ মাঠে তাঁর অনুগামীদেরও কাউকে চোকে পড়েনি। খোঁজ নিতেই স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলছেন, ‘‘ডোমকলের যুবরাজের দিন ফুরিয়ে এসেছে!’’
ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন পুর প্রধান সৌমিক হোসেনকে দলের কোনও অনুষ্ঠানেই দেখা যাচ্ছে না। যাঁর হাত ধরে ডোমকলের তৃণমূল শক্ত মাটি তৈরি করেছিল সেই সৌমিক
নেই কেন?
ডোমকল পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের জাফিকুল ইসলাম বলছেন, ‘‘আমরা নিয়মমাফিক ভাবেই আমন্ত্রণ জানিয়েছি তাঁকে। তবে কেন আসেননি তিনি সেটা সৌমিকই ভাল
বলতে পারবেন।’’
যা শুনে সৌমিক বলছেন, ‘‘আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু জেলার বাইরে আছি, তাই যেতে পারলাম না।’’
যদিও দলীয় সূত্রে খবর, আদতে সে সব কোনও কারনই নয়, জেলাতেই ছিলেন তিনি। জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মুখোমুখি হতে চান না বলেই সভায় আসেননি তিনি।
শুভেন্দুর সঙ্গে সৌমিকের ঠান্ডা লড়াইয় জেলায় সুবিদিত। দলের অন্দরের খবর, পুরসভা থেকে সৌমিকের ‘অপসরণের’ পিছেন প্রচ্ছন্ন মদত ছিল জেলা পর্যবেক্ষকের, বিরোধ সেই সূত্রেই।
তবে, এ দিনের সভা যতটা না এনআরসি বিরোধী ছিল তার থেকেও বেশি ছিল কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর বিরোধী। শুভেন্দু বলতে উঠে প্রথম থেকেই আক্রমণ করেন অধীরকে।