ছেলের বিরুদ্ধে সৎবাবাকে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
দা দিয়ে ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল সৎছেলের বিরুদ্ধে। সোমবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার নবদ্বীপের চন্দ্র কলোনি এলাকায়। মৃতের নাম ইন্দ্র দেবনাথ। বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে বিয়ে করেছিলেন ইন্দ্র। স্ত্রী সীমা হালদারের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম পক্ষের ছেলে বাপনও তাঁদের সঙ্গে থাকতেন। সীমার দাবি, রবিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ঘুমোতে যান। তাঁর আরও দাবি, ছেলের মানসিক সমস্যা ছিল। রাতে ঠিকঠাক ঘুমোত না। রবিবার মধ্যরাতে মত্ত অবস্থায় তাঁদের ঘরে ঢোকেন ছেলে। এর পর দা দিয়ে তাঁর স্বামীর গলায় আঘাত করেন ১৮ বছরের ছেলে। সীমা ঘুম থেকে উঠে চমকে যান। তাঁকেও ছেলে কোপাতে যান বলে অভিযোগ। দায়ের কোপ এসে পড়ে তাঁর একটি হাতে। চিৎকার-চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নবদ্বীপ থানার পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইন্দ্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপন হালদারকে আটক করা হয়েছে।
খুনের কারণ নিয়ে ধন্দ রয়েছে। সৎবাবাকে মেনে নিতে না পেরে তাঁকে ছেলে খুন করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ছেলে। আবার মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ, এই ঘটনায় মা ও ছেলে— দু’জনেই জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের শাস্তির দাবি করেন তিনি। অন্য দিকে, সীমা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলেকে কঠিন সাজা দিক পুলিশ।