বহরমপুরের নিমবাবা পুজো। —ছবি : সংগৃহীত
দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতে হাজির হয়েছিল কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা। তার রেশ কাটতে না কাটতে বহরমপুরে হাজির ভৈরব পুজো। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বরাবরই কার্তিক মাসের শেষ দিনে বহরমপুরে ভৈরব পুজো হয়। সেই মতো আজ শুক্রবার বহরমপুর জুড়ে ভৈরব পুজো হবে। বৃহস্পতিবার শহর জুড়ে তারই প্রস্তুতি চলছে। শহরের বিভিন্ন পাড়ায় বিভিন্ন নামে পুজিত হচ্ছে ভৈরব পুজো। কোথাও নিমবাবা তো, কোথাও ডাববাবা, বোল্ডারবাবা, কড়াইবাবা, তেঁতুলবাবা, প্রেমবাবা, গলিবাবা, ভৈরববাবার মতো একাধিক নামে ভৈরব ঠাকুরের পুজো হচ্ছে। তবে বহরমপুরের জাগ্রত ভৈরবপুজো গুলির মধ্যে অন্যতম হল খাগড়ার ভৈরবতলার ভৈরব বাবা, সৈদাবাদের নিমবাবার মতো পুজো। একই দিনে আবার বহরমপুর শহরের কোথাও কৈলাস পুজো, কোথাও বা শিবের পুজোও হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর শহরে একশোটির উপরে ভৈরব পুজো হচ্ছে। তবে বড় বড় পুজো মণ্ডপে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভৈরব পুজোকে সামনে রেখে শহরে পুলিশি টহলদারি গাড়িও থাকবে। ২২-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বহরমপুরে ক্রমে বিভিন্ন ভৈরবপুজোর বিসর্জন হবে। ভৈরব পুজোর বিসর্জনেও বহরমপুর শহরে বহু লোক সমাগম হয়।
নিমবাবা খুব জাগ্রত বলে মনে করেন শহরের বাসিন্দারা। ট্রাস্টির সভাপতি চন্দন দাস জানান, নিমগাছের তলায় বাবার পুজো হয় এবং পুজোর সময়ে বাবার হাতে নিমগাছের ডাল দিতে হয়। সে জন্য বাবার নাম নিমবাবা। তাঁর দাবি, ‘‘প্রতি বছর এক একজন ভক্ত পুজোর সমস্ত খরচ বহন করেন। ২০৮৩ সাল পর্যন্ত ভক্তরা পুজো দেওয়ার জন্য বুকিং করেছে।’’