সিংহবাহিনীর মূর্তি। নিজস্ব চিত্র
দুর্গার থেকে কিছুটা ভিন্ন রূপে দশভুজাকে দেখা যায় জিয়াগঞ্জ সিংহবাহিনী মন্দিরের কষ্টিপাথরের নির্মিত দেবী দুর্গাকে।
দেবী দুর্গার নিচের বেদিতে ১৬৮৮ শকাব্দ পালি ভাষায় নির্মাণকাল খোদাই করা আছে। সেই সূত্র ধরেই বলা যেতে পারে আজ থেকে ২৫৬ বছর আগে মূর্তিটি নির্মাণ হয়ে ছিল।মন্দিরে নিত্য পুজোর ব্যবস্থা থাকলেও পুজোর চার দিন উৎসবে মেতে ওঠেন এলাকাবাসী সিংহবাহিনীর আরাধনায়।
এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এলাকার শতাধিক পরিবার। আজ থেকে ৭৫ বছর আগে একটি ট্রাস্টি গঠন করা হয় মন্দির পরিচালনার উদ্দেশ্যে। ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান সম্পাদক ধ্রুব নাথ রায় বলেন, ‘‘২৫৬ বছর আগে জিয়াগঞ্জের দুধ ঘাটে (বর্তমান নিমতলা ঘাট) দেবী মূর্তিকে এক জন বণিক গঙ্গার তীর থেকে উদ্ধার করেন। তখন নিমতলা ঘাট সংলগ্ন ব্রহ্মময়ী কালী বাড়িতে দেবী দুর্গার পূজা-অর্চনা চলতে থাকে। পরবর্তী সময়ে জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা বটু অধিকারীর পরিবার থেকে একুশ শতক জায়গা সহ মন্দির নির্মাণ করে দেন। তাঁদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম অর্পণনামা করে দেয় ট্রাস্টি বোর্ডকে। সেই থেকেই ট্রাস্টি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। মন্দিরে রয়েছে পঞ্চমুন্ডির আসন। সেই সময় থেকে তন্ত্রমতে পুজো হয়ে আসছে।’’