শুরু হল ৩৮তম নদিয়া জেলা বইমেলা। শান্তিপুর সাধারণ গ্রন্থাগার মাঠে। সোমবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ
রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে সাতশোর বেশি কর্মী নিয়োগ হবে সোমবার শান্তিপুরে নদিয়া জেলা বইমেলার উদ্বোধনে এসে জানালেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সোমবার শান্তিপুর সাধারণ গ্রন্থাগার মাঠে জেলা বইমেলা শুরু হল। এর আগে দীর্ঘদিন জেলাসদর কৃষ্ণনগরেই জেলা বইমেলা হয়ে এসেছে। জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতর সূত্রে জানা যায়, রাজ্যের বিভিন্ন গ্রন্থাগার কর্মী-সঙ্কটে ধুঁকছে। এক জন্য বিগত বাম সরকারকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, “সাতশোর বেশি কর্মী নিয়োগ হবে। সমস্যা মিটে যাবে।” মন্ত্রীর দাবি, এর আগে কোনও বইমেলা গ্রন্থাগাক চত্বরে হয়নি। একমাত্র শান্তিপুরেই হল। যদিও দীর্ঘদিন কৃষ্ণনগর সাধারণ গ্রন্থাগার মাঠেই জেলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে এসেছে। নদিয়া জেলা বইমেলার সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত শিবনাথ চৌধুরীও বলেন, “কৃষ্ণনগর সাধারণ গ্রন্থাগার মাঠেও এর আগে বইমেলা হয়েছে।”
এই প্রথম শান্তিপুরে জেলা বইমেলা হওয়া নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। দেওয়াল লেখা থেকে মাইকে টানা প্রচারও চলেছে। মন্ত্রী বক্তৃতায় বলেন, “স্বাধীনতার পরে এখানে প্রথম বইমেলা হচ্ছে। এটা আপনাদের পাওনা ছিল।” তাঁর বক্তব্য, “আপনারা এই লাইব্রেরি মাঠটাকে যে ধরে রেখেছেন, আপনাদের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে স্যালুট জানাচ্ছি। এখন তো জবরদখলের সময়!” শান্তিপুর সাধারণ গ্রন্থাগার হল এবং ভবনের সংস্কারের দাবি অনেক দিনের। মন্ত্রী বলেন, “চতুর্দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে, লাইব্রেরির শরীর-স্বাস্থ্য বেশ খারাপ। এক দিনে ঠিক হবে না। তবে আশা রাখতে পারেন, মুখ্যমন্ত্রী সব দফতরের বাজেট পাঁচ-ছয় গুণ বাড়িয়েছেন।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী, জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু প্রমুখ। এ বার জেলা বইমেলায় ৮৫টি বইয়ের স্টল থাকছে। থাকছে একটি ‘দুয়ারে সরকার’ স্টলও। প্রতিদিনই থাকবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, সেমিনার, কবি সম্মেলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যে সাত দিন বইমেলা চলবে, রাতে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। কৃত্তিবাস স্মৃতি গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালার প্রাচীন বইপত্র ঠিক মতো সংরক্ষণ করার পাশাপাশি নদিয়ার ইতিহাস নিয়ে ৫০০ পৃষ্ঠার একটি বইও লিখতে বলেন মন্ত্রী।
তাঁর আশ্বাস, সেই বই তাঁদের দফতরই প্রকাশ করবে। শিবনাথ জানান, তাঁরা সেই কাজে এগিয়েছেন।