সুনসান দোকান । হরিহরপাড়ায়।
দিন কয়েক পরেই খুশির ইদ। অন্য দিকে ইদের এক সপ্তাহ পরেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা এখন ব্যস্ত নিজের এলাকায় ভোটব্যাঙ্ক সামলাতে। ফলে গ্রাম বাংলার ভোট অর্থাৎ ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাছে এ বছর কার্যত ম্লান হয়ে পড়েছে ইদের বাজার।
২৯ জুন বৃহস্পতিবার, পবিত্র ইদুজ্জোহা। ফলে ইদের বাকি আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন। গ্রামেগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিন কয়েক পরে ইদ হলেও মন্দা ইদের বাজার। কেনাকাটা সেই অর্থে হচ্ছেই না।রবিবার ছিল ইদের আগে শেষ ছুটির দিন। অথচ গ্রামেগঞ্জের দোকানগুলিতে নেই চেনা ভিড়। হরিহরপাড়া, ডোমকল, নওদা, বেলডাঙা বাজারের ছবিটা সর্বত্রই প্রায় একই। হরিহরপাড়ার এক পোশাক বিক্রেতা আব্দুল আজিম বলেন, “সাধারণত বকরি ইদের দিন পনেরো আগে থেকে কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু ইদের আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। ইদের আগে শেষ রবিবারও তেমন বেচাকেনা নেই।” তহিদুল ইসলাম নামে আর এক দোকানদার বলেন, “এলাকার অধিকাংশ মানুষ ভোটে মেতে আছেন। ফলে ইদের মরসুমে বিক্রি-বাট্টা কম। কেউ কেউ শহরের বড় দোকানে ভিড় করলেও গ্রামের দোকান ফাঁকাই থাকছে।”
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বকরি ইদের আগে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ভিন রাজ্য, প্রবাস থেকেও ফেরেন। ফলে ইদের আগে বিক্রি-বাট্টা ভাল হয়। এ বছর শ্রমিকদের অনেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে তাদের অনেকেই শামিল ভোট উৎসবে। ফলে ইদের কয়েক দিন আগেও ফাঁকা দোকানপাট। সরিফুল ইসলাম নামে এক জুতোর দোকানদার বলেন, “মানুষ ভোট নিয়ে ব্যস্ত। আশা করছি ইদের বাজার জমে উঠবে।” গোলাম মোস্তফা নামে এক প্রবীণ পোশাকের দোকানের মালিক বলেন, “দীর্ঘদিন ব্যবসা করছি। ইদের চার-পাঁচ দিন আগে এ ভাবে কখনও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয়নি। আশা করছি মানুষ ইদের কেনাকাটা করবেন।” হরিহরপাড়া বাজার কল্যাণ সমিতির সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, “মানুষের হাতে টাকা কম। পাট ঘরে ওঠেনি। তা ছাড়া মানুষ এখন ভোট নিয়ে ব্যস্ত। ভোট উৎসবে এ বছর ইদের বাজার ফিকে হয়ে পড়েছে।”