উৎসব: ইদের দিনে শুভেচ্ছা (বাঁ দিকে)। অক্ষয় তৃতীয়ার বাজার। বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
নতুন বছরের শুরুতেই অক্ষয় তৃতীয়া। সাধারণ ভাবে বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এই উত্সব পালন করা হয়।
বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক শঙ্কর চৌঝুরী বলেন, ‘‘মাসের গোড়া থেকে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত খুব গরম ছিল। কিন্তু ইদের মুখে গরম কমে। বাজারেও ভিড় বাড়ে। তার পরে অক্ষয় তৃতীয়া এসে গেল। তাতে বাজার এখন জমজমাট। অনেক ব্যবসায়ী জনিয়েছেন, এতে তাঁদের বিরাট উপকার হয়েছে।’’
বেলডাঙা হাটপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরফাত শেখ বলেন, ‘‘এই বাজার এখন জমজমাটই থাকবে। কেননা, ইদের জন্য অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেছেন। তাঁরা কিছু দিন বাড়িতে থাকবেন। তাঁরা বাড়ির জন্য কেনাকাটা করবেন। তাতে বাজারের লাভ।’’ আরফাত বলেন, ‘‘কোভিডের পরে এত ভিড় বাডারে এই প্রথম।’’
ইদ উপলক্ষে স্বর্ণশিল্পীদের বাজারও জমেছে। স্বর্ণশিল্পীদের সংগঠনের পক্ষে অভিমন্যু কর্মকার বলেন, ‘‘ইদ উপলক্ষে অনেকেই সোনার গয়না কিনেছেন। অনেকে পুরনো গয়না দিয়ে নতুন গয়না গড়িয়েছেন। অক্ষয় তৃতীয়াতেও পুরনো ঐতিহ্য সোনার ব্যবসা ভাল হবে বলে মনে হচ্ছে।’’ এই দিন শুভ মুহুর্তে অনেক ক্রেতা ধাতু সংগ্রহ করেন। কেউ সোনা কেউ বা রুপো কেনেন।
চলতি বছরে অক্ষয় তৃতীয়া ২২ ও ২৩ এপ্রিল দু’দিন পালিত হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে রবিবার সকাল দু’দিনই পুজো হচ্ছে জেলায়। এই শুভ দিনে অনেকেই নিজেদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পুজো দিয়ে নতুন খাতার পত্তন করেন। এদিন থেকেই তাদের বছরের শুরুর দিন হিসাবে কারবারের খাতায় তোলা হয়। বৈশাখের এই দিনে(অক্ষয় তৃতীয়া) সিঁদুর মাখানো রুপোর মুদ্রার ছাপ পড়ে লাল খেরোর খাতায়। লেখা হয় ‘ওঁ গণেশায় নম:’। অনেকে এ দিন হালখাতাও করেন। অনেক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান শনিবার তাদের প্রতিষ্ঠানে হালখাতা করেছেন।