—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়ি ঘিরে এলোপাাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মহিলা এবং শিশু-সহ অন্তত ১৫ জন জখম হয়েছেন। তৃণমূলের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
সোমবার রাতে নাকাশিপাড়ার গোবিপুর এলাকায় কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালানো হয়। অন্তত ১৫ জন কংগ্রেস সমর্থকের বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল দুষ্কৃতীরা। বাড়িগুলির দিকে বন্দুকের নল তাক করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ— বাদ যাননি কেউ। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের গুলির আঘাতে জখম হয়েছে তিন শিশু। এ ছাড়া, পাঁচ জন মহিলাও আহত। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে নাকাশিপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয়রাই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিছু ক্ষণ গুলি চালানোর পর এলাকার মানুষ প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন। তার পরেই এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় জানিয়েছেন, গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আহতদের অভিযোগ, যাঁরা গুলি চালিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। রাজনৈতিক আক্রোশ থেকে এই হামলা করা হয়েছে।
আক্রান্তেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরাও তৃণমূল সমর্থক ছিলেন। দীর্ঘ দিন শাসকদলকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু কিছু দিন আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় তাঁরা তৃণমূল ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেন। এর পর থেকেই তাঁদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল শাসকশিবির। অভিযোগ, সেই ক্ষোভ থেকেই হামলা চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নদিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে কংগ্রেসকে কংগ্রেসকে সমর্থন করার জন্য গ্রামের অর্ধেক বাড়িতে অবাধে গুলি চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ১৫ জন আহত। পুলিশও উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’’
অন্য দিকে, তৃণমূলের নদিয়া জেলার চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দীন আহমেদের বক্তব্য, ‘‘গ্রাম্য বিবাদে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে এর সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।’’