—নিজস্ব চিত্র।
জগদ্ধাত্রী পুজোর চাঁদা নিয়েও জুলুমবাজির অভিযোগ। চাঁদা না দেওয়ায় ক্লাবেরই এক সদস্য-সহ তাঁর পরিজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দুই মহিলা-সহ সাত জন জখম হয়েছেন বলে দাবি। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাড়ির জানলার কাচ ভাঙা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ভেঙে ফেলা হয়েছে আক্রান্ত ক্লাব সদস্যের বাইকও। সোমবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি এলাকায়। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সদস্যরা।
ঘূর্ণির নবারুণ সংঘের সদস্য টুলু দেবনাথের অভিযোগ, জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে তাঁর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। কিন্তু ওই পরিমাণ টাকা দিতে না পারার কথা জানানোয় টুলুর সঙ্গে ক্লাবের বাকি সদস্যদের বচসা বেধে যায়। পরে মিটমাট হয়। অভিযোগ, এর পর সোমবার মধ্যরাতে ক্লাবের কয়েক জন সদস্য টুলুর বাড়িতে চড়াও হন। ধারালো অস্ত্র, লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। টুলু-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আক্রান্তদের বর্ধমানের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
আক্রান্ত টুলু বলেন, ‘‘চাঁদা না দেওয়াতেই হামলা চালানো হয়েছে। রাতে বাড়ি ঘেরাও করে বেধড়ক মারধর করে বাড়ির সব জিনিস ভাঙচুর করেছে ওরা। প্রাণভয়ে আছি।’’ যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সদস্যরা। তাঁদের পাল্টা দাবি, চাঁদা না দেওয়ার বাহানা খুঁজতেই মিথ্যে গল্প ফাঁদা হয়েছে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সঞ্জয় কুমার মাকোয়ান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ যায়। তদন্ত চলছে।’’ চাঁদা নিয়ে জুলুমের অভিযোগ নতুন নয়। কালীপুজোর সময়ও এই ধরনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। নদিয়ার শান্তিপুরে চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার শিরীষতলা এলাকায় দাবি মতো চাঁদা না দেওয়ায় পাথর ছুড়ে এক গাড়িচালকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।