Self Help Group

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জিনিস বিক্রি ওয়েবসাইটে

বুধবার কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ব্র্যান্ডের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক। সেখানে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি ছিলেন জন প্রতিনিধিরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ০১:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে একটি ছাতার তলায় নিয়ে এসে তাদের উৎপাদিত সামগ্রী বিপণনের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করল জেলা প্রশাসন। তৈরি করা হয়েছে কো-অপারেটিভ সোসাইটি। আর সেই সোসাইটির জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি ব্র্যান্ড। যার নিজস্ব লোগো এবং ওয়েবসাইটও থাকছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির জন্য ওই সোসাইটির মাধ্যমে একাধিক বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। কৃষ্ণনগর, কল্যাণী এবং কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে ৪৮টি বিপণন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে বুধবারই ১৯টি বিপণন কেন্দ্র চালু করে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “আমাদের জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি অতি উন্নত মানের নানা সামগ্রী উৎপাদন করে। কিন্তু তারা সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বাজার পাচ্ছিল না। আমরা সেই বাজারের ব্যবস্থা করে দিলাম।” তিনি জানান, এই সোসাইটির মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি তাদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করতে পারবে।

মাস কয়েক আগে জেলার সমস্ত স্বর্নিভর গোষ্ঠী এবং সমবায় সমিতিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে তৈরি করা হয়েছিল ‘শ্রী চৈতন্য মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’। পদাধিকার বলে সেই সোসাইটির চেয়ারম্যান হলেন জেলাশাসক। জেলার প্রায় ৮ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলা এবং সমবায় সমিতির প্রায় ৮ লক্ষ কৃষককে এই সোসাইটির তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি সোসাইটির অধীনে ‘চেতনা’ নামে একটি ব্র্যান্ড তৈরি করা হয়। তৈরি করা হয় লোগো। জেলা প্রশাসনের দাবি, যে সমস্ত সমবায় এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই সোসাইটির অধীনে থেকে ব্যবসা করতে চাইবে তারা সকলকেই এই ব্র্যান্ড এবং লোগো ব্যবহার করবে। গোটা রাজ্যে সমবায়ের নিজস্ব ৪৮টি বিপণন কেন্দ্র ছাড়াও জেলার প্রায় সর্বত্রই বড় বড় হোর্ডিং লাগানো শুরু হয়েছে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও কেউ চাইলে এই সমস্ত সামগ্রী কিনতে পারবেন বলেই জেলা প্রশাসের কর্তাদের দাবি। জেলাশাসক বলেন, “এই সোসাইটির মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং সমবায়গুলি তাদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করলেও পুরো টাকাটাই তাঁরা পাবেন। সোসাইটি তাঁদের কাছ থেকে কোনও লভ্যাংশ নেবে না।” তাঁর দাবি, এই সামগ্রীগুলি যেহেতেু ভেজাল ছাড়া হবে, তাই চাহিদা তৈরি হবে সাধারণের মধ্যে। ফলে বিপণনের ক্ষেত্রও অনেকটা বেড়ে যাবে। করোনা অতিমারির সময় প্রাথমিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমন খাদ্য সামগ্রী, যেমন ঘি, মধু এবং নানা ধরনের মশলা বিক্রি হবে। পরে কৃষকদের উৎপাদিত চাল, ডাল, তেলও বিক্রি হবে বলে জেলাশাসকের দাবি।

Advertisement

বুধবার কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ব্র্যান্ডের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক। সেখানে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি ছিলেন জন প্রতিনিধিরাও। তবে মঞ্চের উপর পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষা করা হলেও নীচে তার কিছুই মানা হয়নি। নীচে পাশাপাশি চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে কয়েকশো মহিলাকে। যাঁদের মধ্যে অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিল না। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “এই অনুষ্ঠানে দশ হাজার মহিলা আসতে চেয়েছিলেন। আমরা মাত্র পাঁচশো জনকে আসতে বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ বিধি মেনে অনুষ্ঠানটা করতে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement