ভাঙা দেওয়াল। নিজস্ব চিত্র।
এ যেন প্রকৃত অর্থে চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত ঢেলে খাওয়া!
চোরে স্কুলের কম্পিউটার, সাউন্ড স্টিস্টেম চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে। এর আগেও ওই স্কুলে চুরি হয়েছে। বারবার পুলিশকে জানিয়েও চুরি আটকানো যায়নি। তাই স্কুল বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন স্কুলের শিক্ষকেরা। অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার স্কুল হয়নি। পড়ুয়ারা স্কুলে এলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শান্তিপুর বাথানগাছি হাইস্কুলের ঘটনা।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও স্কুলে একবার চুরির চেষ্টা হয়। জানালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা কম্পিউটার বের করে নিয়ে চলে যায়। যদিও তা নিয়ে যেতে পারেনি। মাঠে ফেলে দিয়ে যায়। এ বার দেওয়াল ভেঙে দু’টো কম্পিউটার, একটা পিন্টার ও স্ক্যানার, সাউন্ড সিস্টেম ও একটা সাইকেল নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানস প্রামাণিকের অভিযোগ, ‘‘বারবার স্কুলে দুষ্কৃতী হানা হচ্ছে। অথচ পুলিশ কাউকেই ধরতে পারছে না। সেই কারণেই পরিচালন সমিতির সদস্যেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ একই কথা জানিয়েছেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি দীপক দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘‘এটা পরিচালন সমিতির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। চুরি যাওয়া জিনিস উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। অভিভাবকেরাও একই দাবি করছেন।’’
কিন্তু প্রশাসনের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে এ ভাবে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রাখা যায় কি ? তাতে কি পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে না?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘এ ছাড়া আমাদের কাছে অন্য কোনও রাস্তা খোলা নেই। স্কুলে একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটায় অভিভাবকেরাও বিরক্ত। সকালেই পরিচালন সমিতির সদস্যরা বসে আলোচনা করেছিলাম। সকলেই মনে করছেন যে প্রশাসনের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে এটাই একমাত্র উপায়।’’
জেলার স্কুল পরিদর্শক মিতালি দত্ত বলেন, ‘‘ঘটনাটি জানা নেই। তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগে কিছু চুরি হয়নি। এখনও পর্যন্ত স্কুলের তরফে জানানো হয়নি যে কী চুরি হয়েছে। তা জানতে পারলে সেই মতো তদন্ত করে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি চুরি হয়ে যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করব।’’