নিহত সত্যজিৎ বিশ্বাস।
সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের রাতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল থেকে গামছা পরে এক জনের মোটরবাইকে চেপে অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছিলেন মিলন সাহা। বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী সুবীর দেবনাথের জেরার মুখে এমন কথাই জানালেন সত্যজিৎ-ঘনিষ্ঠ তথা মূল অভিযোগকারী মিলন।
গত জুলাই থেকে বিধাননগর ময়ূখ ভবনের বিশেষ আদালতে কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ দিন বিচারক মনোজজ্যোতি ভট্টাচার্যের এজলাসে অভিযুক্তের আইনজীবীরা অন্যতম প্রধান সাক্ষী মিলন সাহাকে জেরা করেন ।
২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর আগের রাতে হাঁসখালিতে মাজিদপুর দক্ষিণপাড়ায় ফুলবাড়ি ফুটবল মাঠে ‘আমরা সবাই ক্লাবের’ সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখছিলেন সত্যজিৎ। অভিযোগ, সেই সময়ে খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করে অভিজিৎ পুন্ডারি। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়। পরে অনেক রাতে হাঁসখালি থানায় চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আমরা সবাই ক্লাবের সভাপতি মিলন।
অভিজিৎ পুন্ডারির আইনজীবী সুবীর দেবনাথের প্রশ্নের উত্তরে মিলন জানান, তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ থেকে এসে কৃষ্ণগঞ্জের রাধাসুন্দরী পালচৌধুরী বিদ্যাপীঠে ভর্তি হন। ওই স্কুলেই পড়তেন সত্যজিৎ। পরে মিলনই তাঁকে বাইকে সব জায়গায় নিয়ে যেতেন। তিনি জানান, ঘটনার রাতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, রত্না দে নাগ, রিক্তা কুণ্ডু প্রমুখ। হাসপাতালেই পুলিশকে তিনি সব জানান। ফেরার আগে তাঁর জামাপ্যান্ট পুলিশ ‘সিজ়’ করে নেয়। তিনি গামছা পরে এক জনের বাইকে চেপে বাড়ি ফেরেন। তবে সেই বাইক চালকের নাম এ দিন তিনি আদালতে বলতে পারেননি।
আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে মিলন জানান, বাড়ি ফিরে স্নান করে থানায় গিয়ে তিনি এফআইআর করেন। আইনজীবী জানতে চান, ২০১৯ সালের ২৫ মার্চ সিআইডি তাঁকে বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা বললে তিনি এক মাসের আগে সময় দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন কি না। মিলন সম্মতি জানান। এ দিন মিলনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পূর্ণ হয়নি। আজ, বৃহস্পতিবার ফের সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা। নিজস্ব চিত্র