থানার উদ্বোধন। নিজস্ব চিত্র
জলঙ্গির সীমান্ত এলাকার মানুষের দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। আর সেই দাবি মেনে শেষ পর্যন্ত সোমবার সাগরপাড়া এলাকার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে তৈরি হল নতুন থানা।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এই থানা তৈরির ফলে ভীষণভাবে উপকৃত হবেন এলাকার বাসিন্দারা। তা ছাড়াও সীমান্ত জুড়ে কমবে চোরাপাচারের কারবার এবং অপরাধপ্রবণতা। এদিন জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার ওই থানার উদ্বোধন করে বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত সীমান্তের এলাকায় নতুন থানা তৈরি করতে পেরে আমরাও খুশি।’’
জলঙ্গি থেকে প্রায় ১৪ কিমি দূরত্ব সাগরপাড়া সাগরপাড়ার। আর সেই এলাকা ছাড়িয়েও আরও বেশ কয়েক কিমি দুরের গ্রাম আছে জলঙ্গি থানা এলাকার। ফলে জলঙ্গি থানা থেকে সেই সব এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়তো এত দিন। বিশেষ করে সীমান্ত এবং চর এলাকার অনেক গ্রামে পুলিশের পক্ষে পৌঁছনো এতটাই কঠিন ছিল যে ঘটনা ঘটার অনেক পরে পুলিশের পা পড়ত সেই এলাকাগুলিতে। আর সেই অসুবিধার কথা মাথায় রেখে বাম আমল থেকেই সাগরপাড়ায় একটি নতুন থানা তৈরীর জন্য আবেদন-নিবেদন শুরু হয়েছিল।
একটা সময় নিজেদের এলাকায় থানা তৈরির জন্য সাগরপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে চাঁদাও তোলা হয়। এবং সেই চাঁদা তুলে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় কেনা হয় থানার জন্য জমি। কিন্তু এখনও সেই জমিতে পরিকাঠামো তৈরি না হওয়ায় আপাতত সাগরপাড়া কালিতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে এদিন থেকে শুরু হল নতুন থানা।
এলাকার বাসিন্দা সাগরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রত্যুষ সরকার বলছেন, ‘‘বছর কয়েক আগেও সাগরপাড়া বাজারে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়েছে, এমনকি ভোরবেলা কলকাতাগামী বাসের যাত্রীদের কাছ থেকেও ছিনতাই করা হয়েছিল টাকা পয়সা। এছাড়াও নানা ধরনের ছোটখাটো চুরি ছিনতাই এবং অপরাধের ঘটনা লেগেই থাকে তারপর থেকেই এলাকায় থানা তৈরির দাবি জোরালো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত থানা তৈরি হওয়ায় আমরা খুশি।’’