—প্রতীকী চিত্র।
দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর হামলার অভিযোগ করলেন তৃণমূল কর্মী। আঙুল কংগ্রেসের দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার আমিরাবাদ এলাকায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এলাকায় পুলিশি টহলদারি শুরু হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ ইস্তক বার বার রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে রানিনগরে। তৃণমূল এবং কংগ্রেস, দু’পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলা, সন্ত্রাসের অভিযোগ করছে। বোমাবাজি, গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে আবার অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে দলীয় তিন প্রার্থীর হয়ে প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী শাহিন শাহ। অভিযোগ, তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন কংগ্রেস কর্মীরা। এর পর কথা কাটাকাটি হয়। তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, আচমকা তাঁকে বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে গোধনপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তাঁর। এখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন তিনি।
তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় তাদের কর্মী আহত হয়েছে। রানিনগর-২ ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি মিজান হাসান বলেন, ‘‘ওই এলাকায় আমাদের সংগঠন ভাল। এটা দেখেই বিরোধীরা ভয় পেয়ে আমাদের কর্মীদের মারধর করছেন। আমাদের এক কর্মীকে বেধড়ক ভাবে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।’’ হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা নজর রাখছি। এর বদলা হবে।’’
যদিও এ নিয়ে রানিনগর-২ ব্লকের কংগ্রেস নেতা জাহাঙ্গীর ফকিরের দাবি, ‘‘সব সময় কংগ্রেসের কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। লাগাতার অত্যাচার করছে ওরা। এই ঘটনায় আমাদের কর্মীরা জড়িত নন। আমাদের কর্মীরা ভোটপ্রচার করছিলেন। ওঁরাই কংগ্রেস কর্মীদের বেঁধে রাখে।’’