— প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরছিলেন এক মধ্যবয়স্কা। কিন্তু রাত অনেক হলেও আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন বাড়ির লোক। বুধবার রাস্তার পাশে একটি জনশূন্য এলাকায় তাঁর একপাটি চটি পড়ে থাকতে দেখেন ছেলে। কিছুটা গিয়ে মেলে পরনের শাড়ির ছেঁড়া অংশ। কিন্তু মাকে কোথাও খুঁজে পাননি ছেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বেশ খানিক ক্ষণ তল্লাশির পরে রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে একটি পাটের জমিতে মহিলাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা রোগিণীকে নদিয়ার কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। কিন্তু সেখানেও হয়নি। মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই মাকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ করলেন ছেলে।
পরিবার সূত্রে খবর, রানাঘাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত একটি গ্রামে ওই মহিলার বাড়ি। বুধবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। রাত ৯টা নাগাদ তিনি হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু অনেক ক্ষণ বাড়ি না ফেরায় মাকে খুঁজতে বার হন তরুণ ছেলে। তিনি সুনসান একটি জায়গায় মায়ের পায়ের চটি ও কাপড়ের কিছু অংশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে পাটের জমি থেকে এর পর উদ্ধার করা হয়েছিল ওই মহিলাকে। মৃতের ছেলের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ বলছে দুর্ঘটনা। কিন্তু আমার প্রশ্ন, দুর্ঘটনা হলে মায়ের দেহ রাস্তা থেকে অতটা দূরে কী ভাবে গেল? কেন মাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেল। আমি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি। গণধর্ষণ করে দেহ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা।’’ অন্য দিকে, ওই ঘটনা প্রসঙ্গে রানাঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে গোটা বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি কিছু এখনই বলা সম্ভব নয়।’’