—প্রতীকী চিত্র।
রোজকার মতো বাড়ি বাড়ি দুধ পৌঁছে দিতে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দুধ ব্যবসায়ী। দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে খবর গেল তিনি মৃত। তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে রাস্তার এক পাশে। মঙ্গলবার এ নিয়ে শোরগোল মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের রিং রোড এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মেঘনাদ রায়। বয়স ৩৫ বছর।
পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় দুধ ব্যবসায়ী মেঘনাদ বহরমপুর শহরে বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করতেন। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই দুধ ব্যবসায়ী। তার ঘণ্টাখানেক বাদে বহরমপুর রিং রোডের পাশে মেঘনাদের ক্ষতবিক্ষত দেখতে পেয়ে স্থানীয় কয়েক জন তাঁর বাড়িতে খবর দেন। খবর যায় বহরমপুর থানাতেও। মেঘনাদের আত্মীয়দের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে থেকে দেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মেঘনাদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের একটি সূত্রে খবর, মৃত যুবকের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলার নালি কেটে খুন করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে খুন করা হতে পারে ওই দুধ ব্যবসায়ীকে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতের আত্মীয় সুমন রায় বলেন, ‘‘বেলা ১২টা নাগাদ বাড়িতে খবর যায় যে মেঘনাদকে খুন করা হয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি, পুলিশ এসে ওর দেহ উদ্ধার করছে। আমাদের পক্ষ থেকে পুলিশে নির্দিষ্ট অভিযোগ করা হবে। দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ যদিও মৃতের পরিবার নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানানি।