—প্রতীকী চিত্র।
শোয়ার ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল কলেজ ছাত্রীর দেহ। শনিবার এ নিয়ে চাঞ্চল্য নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়। ছাত্রীকে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সুদীপা বোস (২০)। মুড়াগাছা গর্ভনমেন্ট কলেজের স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। সুদীপার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে খাওয়া দাওয়ার পর নিজের ঘরের শুতে চলে যান তিনি। সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। মেয়ের আচরণে অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি বাড়ির কেউ। কিন্তু শনিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার বাড়ির লোকজনের দাবি, কোনও পারিবারিক অশান্তি ছিল না, যার জেরে এমন পদক্ষেপ করতে পারেন সুদীপা। অন্য দিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুদীপার এক সহপাঠীর দাবি, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কলেজ ছাত্রীর। তবে বেশ কিছু দিন ধরে প্রেমিকেের সঙ্গে গন্ডগোল চলছিল। এ নিয়ে সুদীপা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেখান থেকে সুদীপা আত্মহত্যা করে থাকতেন বলে দাবি তাঁর।
মৃতার বাবা সুভাষ বোসের কথায়, ‘‘আমার এক মাত্র মেয়ে লেখাপড়ায় খুবই ভাল। বাড়ির সবার সঙ্গে ওর সুসম্পর্ক। কেন এ ভাবে সবকিছু শেষ হয়ে গেল, জানি না। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’’ বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি। তবে মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, এমন কোনও তথ্য তাঁর কাছ থেকে মেলেনি। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ।