—প্রতীকী চিত্র।
খেলতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরছিল না নাবালিকা। পরে বাড়ির পাশে একটি পুকুরের ধারে তাকে অচৈতন্য এবং বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করল পরিবার। এ নিয়ে নদিয়ার রানাঘাটের একটি গ্রামে হইচই শুরু হয়েছে রবিবার। নয় বছরের ওই বালিকার পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকালে বাড়ির পাশে খেলার মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল নয় বছরের ওই বালিকা। সন্ধ্যার সময় খেলাধুলো শেষ করে বন্ধুরা বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু ওই নাবালিকা আর বাড়ি ফেরেনি। তার খোঁজ শুরু করে বাড়ির লোকজন। এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজির পর পাড়ার একটি পুকুরের ধারে মেয়েটিকে পাওয়া যায়। কিন্তু অচৈতন্য এবং বিবস্ত্র অবস্থায়। অভিযোগ ওঠে ধর্ষণের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।
স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ এবং খোঁজখবরের পর পুলিশ জানতে পারে, মেয়েটির সঙ্গে যারা খেলাধুলা করছিল, তারা জানায় প্রতিবেশী এক যুবক খেলার মাঠ থেকে ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাচ্চাদের কাছ কথা মতো পুকুরের দিকে গিয়েই মেয়েটিকে পাওয়া যায়। বাড়িতে নিয়ে এসে চোখে মুখে জল দিতে সংজ্ঞা ফেরে মেয়েটির। চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। এর পর প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে রানাঘাট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারীরা। তার মধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে একটি দূরে একটি জঙ্গল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনা নিয়ে রানাঘাট মহকুমার পুলিশ আধিকারিক শৈলজা দাস বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। পক্সো আইনে মামলাও রুজু হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।’’