জেলায় এসে প্রথম দিন টহল দিচ্ছে আধা সেনা। বৃহস্পতিবার দেবগ্রামে। ছবি: সন্দীপ পাল।
নদিয়ায় ঢুকেই চাপড়ার সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা বেতবেড়িয়ায় ‘রুট মার্চ’ করল আধা সেনা। বৃহস্পতিবার চাপড়া থানার পুলিশের উপস্থিতিতে ওই গ্রামে ঢোকে তারা। বেতবেড়িয়া এর আগে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে অশান্ত হয়েছে বারবার। ঘটেছে একাধিক খুনের ঘটনাও। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, অশান্তির আবহ থাকায় বেতবেড়িয়াকে গোড়া থেকে নজরে রাখতে চাইছে আধা সেনা।
এ দিন জেলার একাধিক এলাকায় ‘রুট মার্চ’ করেন আধা সেনার জওয়ানরা। আজ শুক্রবারও একাধিক জায়গায় বাহিনী ‘রুট মার্চ’ করবে। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করিমপুর বিধানসভার চারটি থানা এলাকায় শুক্রবার আধাসেনা ঢুকবে। করিমপুর, থানারপাড়া, হোগলবেড়িয়া ও মুরুটিয়া থানা এলাকায় ২৬ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ১ ও ৩ মার্চ ‘রুট মার্চ’ হতে পারে। তবে কবে কোন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ‘রুট মার্চ’ করানো হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
জেলার পুলিশ কর্তারা জানান, প্রথম দফায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলায় তিন কোম্পানি ও রানাঘাট পুলিশ জেলায় দুই কোম্পানি আধা সেনা পাঠানো হয়েছে। এই পাঁচ কোম্পানিকে যে পাঁচটি থানা এলাকায় নানা কারণে উত্তেজনা আছে সেই সব এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক কারণের পাশাপাশি সমাজবিরোধীদের উৎপাত ও সীমান্ত সংলগ্ন থানা এলাকাতেও আধা সেনা পাঠানো হয়েছে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলায় যেমন কালীগঞ্জ, চাপড়া ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় এবং রানাঘাট পুলিশ জেলায় শান্তিপুর ও চাকদহ এলাকায় আধা সেনা মোতায়ন হয়েছে। চাকদহ ব্লকের চান্দুরিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উপেন্দ্র বিদ্যাভবনে (উচ্চ মাধ্যমিক) এসে পৌঁছয় বাহিনী। বুধবার রাতেই নাকাশিপাড়ায় আধা সেনা চলে এসেছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নদিয়া জেলায় প্রায় ১৯০ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়ন করা হয়েছিল। সংখ্যাটা এবার আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন কর্তারা। জেলা পলিশ সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফায় আরও কয়েক কোম্পানি আধা সেনা পাঠানো হতে পারে। সেই কোম্পানি এলেই তাদেরকে অন্য থানা এলাকায় মোতায়ন করা হবে। পরে সেই সব থানার আশপাশে স্পর্শকাতর বা উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় আধা সেনা পাঠানো হবে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “যেমন ভাবে রাজ্য থেকে আধা সেনা পাঠানো হবে প্রয়োজনের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহার করা হবে।”