রক পাইথনের দেখা মিলল শান্তিপুরের আড়পাড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
একটি ‘রক পাইথন’ পাওয়া গিয়েছে শান্তিপুরের আড়পাড়ায়। শুক্রবার সেটিকে বন দফতরের তরফে বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আড়বান্দি ২ পঞ্চায়েতের ওই প্রত্যন্ত গ্রামে এই সাপ কী করে এল, সেই রহস্যের সমাধা হয়নি।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘রক পাইথন’ প্রজাতির এই সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট। ওজন ১০ কেজিরও বেশি। এই ধরনের পাইথন মূলত পার্বত্য এলাকায়, যেখানে তাপমাত্রা কম বা আর্দ্রতা বেশি, সেখানে দেখা যায়। নদিয়ায় এই ধরনের রক পাইথনের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে কী ভাবে এটি এখানে পৌঁছলো তা নিয়ে সন্দিহান বন দফতর।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে আড়পাড়ার বাসিন্দারা পাইথনটিকে একটি বাড়ির পাশে দেখতে পান। সেটিকে বস্তাবন্দি করে স্থানীয় পলাশগাছি বিট অফিসে খবর দেওয়া হয়। বিট অফিসার ও অন্য বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছন। রাতেই সাপটি উদ্ধার করে বিট অফিসে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সকালে সেটিকে নাকাশিপাড়া থানার বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
বনকর্মীরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ে অন্য রাজ্য থেকে বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে সাপ চলে আসে।
এর আগেও এ রকম দেখা গিয়েছে। বিষধর না হলেও এই ধরনের পাইথন খুবই শক্তিশালী। প্রধানত মুরগি বা ওই ধরনের মাংস-জাতীয় খাবার তাদের পছন্দ। এলাকায় আরও এই ধরনের সাপ রয়েছে কি না সে সম্পর্কেও খোঁজখবর করছে বন দফতর। বৃহস্পতিবারই শান্তিপুরের শান্তিপুরের বিট অফিসার অনিন্দিতা সাহা ও অন্য পদস্থ বনাধিকারিকেরা এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর করেছেন।
ঘটনাচক্রে, যে এলাকা থেকে রক পাইথন উদ্ধার হয়েছে তার কাছেই রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বাড়ি। শুক্রবার তিনি বলেন, "এই ধরনের পাইথন এখানে কী ভাবে এল সে ব্যাপারে ভাল করে খোঁজ নেওয়া দরকার।"