TMC

ওস্তাদের মার অচর্চিত রীতার

কৃষ্ণনগর পুরসভার ইতিহাসে এই প্রথম কোন মহিলা পুরপ্রধান হলেন। এ বার ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হন।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২ ০৮:০৪
Share:

রীতা দাস

শেষ লগ্নে চমক লাগিয়ে কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান হলেন কোনও চর্চায় না থাকা রীতা দাস, যিনি প্রবল ভাবে চর্চা এবং বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা প্রাক্তন পুরপ্রধান অসীম সাহার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আর দৌড়ে সমান পাল্লা দেওয়া পুর প্রশাসক বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান নরেশ দাসের ভাগ্যে জুটল উপ-পুরপ্রধানের পদ।

Advertisement

কৃষ্ণনগর পুরসভার ইতিহাসে এই প্রথম কোন মহিলা পুরপ্রধান হলেন। এ বার ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হন। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। তিন বারের কাউন্সিলর। ২০০৮ সালে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। কৃষ্ণনগরে পুরপ্রধান বাছাইয়ে এই চমক থাকলেও নবদ্বীপে স্থিতাবস্থাই বজায় আছে।

পুরভোটের ফল ঘোষণা হওয়া ইস্তক কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান কে হবেন তা নিয়ে তৃণমূলে তুমুল টানাপড়েন চলছিল। নেতাকর্মীদের আলোচনায় নরেশ দাস, অসীম সাহা এমনকি শহর সভাপতি শিশির কর্মকারের ন?? াম নিয়ে নানা গুঞ্জন ছিল। দলীয় কর্মীদের একাংশের মতে, পরের দিকে শিশির কর্মকারের নাম বাতিলের খাতায় চলে যায়। বরং অসীম সাহার নাম নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। রবিবার রাতে চর্চার বিচারে এগিয়ে যান নরেশ দাস। এরই মধ্যে সবাইকে অবাক করে দিয়ে রীতা দাসের নাম পুরপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হল।

Advertisement

তৃণমূল নেতাকর্মীদের একাংশের মতে, অসীম সাহাকে পুরপ্রধান করা নিয়ে বিভিন্ন মহলের তীব্র আপত্তি ছিল। তাঁর ভাগ্যে শিকে না ছিঁড়লেও তাঁরই ঘনিষ্ঠ রীতা দাসকে পুরপ্রধান করে দলের অভ্যন্তরে সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়েছেন নেতৃত্ব। তবে রীতা পুরপ্রধান হওয়ায় অসীম সাহাই বকলমে পুরসভার কাজকর্ম চালনা করবেন এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, “রীতা দাসকে পুর প্রধান আর নরেশ দাসকে উপ-পুরপ্রধান হিসেবে মনোনীত করেছে দল। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকলকে চলতে হবে।”

পুরপ্রধান হওয়ার খবর পাওযার পর উচ্ছ্বসিত রীতা বলেন, “আমাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হবে তা আমার ভাবনায় ছিল না। উচ্চ নেতৃত্ব যখন আমায় মনোনীত করেছেন তখন নেত্রীর নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করব।” আর নরেশের বক্তব্য, “দল যা ভাল মনে করেছে, সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছে। আমায় যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, পালন করব।”

নবদ্বীপ পুরসভায় স্থিতাবস্থা বজায় রইল। পুরপ্রধান হিসাবে চতুর্থবারের জন্য বিমানকৃষ্ণ সাহাকেই বেছে নিল তৃণমূল। উপ-পুরপ্রধান রইলেন গত বারের শচীন্দ্র বসাকই। বিরোধীশূন্য এই পুরসভায় বিকল্প মুখ নিয়ে তেমন কোনও চর্চাও ছিল না। এই প্রসঙ্গে বিমানকৃষ্ণ বলেন, “আমরা আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করেছি নবদ্বীপের মানুষকে যথাসাধ্য পরিষেবা দিতে এবং তাঁদের পাশে থাকতে। তাই তাঁরাও আমাদের দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল।”

(সহ-প্রতিবেদন: দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement