—ফাইল চিত্র
মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করাতে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে কথা হলেও তার পর থেকে আর উত্তর পাওয়া যায়নি ফোনে। ওই দিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ছেলেকে দুর্ঘটনার কথা জানায় উদ্ধারকারী দল। ডুবুরি নামিয়ে বুধবার সকাল থেকে খোঁজ শুরু হয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের। আত্মহত্যার চেষ্টা করা শিক্ষকের নাম তারকেশ্বর দেবনাথ। বাড়ি নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুরে। নবদ্বীপঘাট সংলগ্ন স্বরূপগঞ্জ ঘাট থেকে নৌকা পার হয়ে তিনি নবদ্বীপে ফিরছিলেন। নৌকায় ব্যাগ, মোবাইল ও জুতো রেখে ভাগীরথীতে নৌকা থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁকে বাঁচাতে মাঝি নৌকা নিয়ে এগিয়ে যান। বোয়া ছুঁড়ে দেওয়া হলেও ধরার চেষ্টা করেননি তিনি।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে নদীতে স্পিডবোট ও ডুবুরি নামিয়ে নদীতে নিখোঁজ শিক্ষকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে ক্যুইক রেসপন্স টিম। এমনকি বিকেল পর্যন্ত তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হলেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, তারকেশ্বরবাবু নিদয়ার নিরঞ্জননগর প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকতা করতেন। তাঁর স্ত্রী বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছিন। একমাত্র ছেলে, পুত্রবধূ ও সাড়ে তিন বছরের নাতনিকে নিয়ে থাকতেন। কলকাতায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন ছেলে তন্ময়। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাবা ফোন করে কলকাতা মেডিক্যালে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন। তার পর সারা দিন বাবার সঙ্গে ফোনে একাধিক বার কথা হয়েছে। সাড়ে ৩টে নাগাদও কথা হয়। বিকেলের দিকে আরও দু’-তিনবার ফোন করলেও ধরেনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বাবাকে ফোন করায় একজন ফেরিঘাট থেকে দুর্ঘটনার কথা জানান। বয়সজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাবা অসুস্থতায় ভুগছিলেন।