Agitation

বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের

রবিবার গ্রামের রাস্তায় পা দিতেই রে রে করে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বিধায়ককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

Advertisement

কৌশিক সাহা

কুলি শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৩৯
Share:

বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। কুলিতে। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ যেন পিছু হটছে না দিদির পাঠানো দূতেদের। এক কথায় আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভ তো রয়েছেই, সঙ্গে সংযোজন হচ্ছে নিকাশির নালার কাজ হয়নি, রাস্তাঘাট ভাঙা, পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থায় নেই গ্রামে, এমন সব অভিযোগও। এমনকি নেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েও অভিযোগ উঠছে।

Advertisement

রবিবার গ্রামের রাস্তায় পা দিতেই রে রে করে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বিধায়ককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। রবিবার এমন ঘটনায় ঘটতে দেখা গিয়েছে বড়ঞা ব্লকের কুলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নবগ্রামে। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।কেউ দুপুরের খাবার ছেড়ে রাস্তা এসেছেন, তো কেউ আবার স্নান করা ছেড়ে ভিজে গায়ে বিধায়ককে ক্ষোভের কথা শোনানোর সঙ্গে দলের নেতাকর্মীরা ভাল ব্যবহার করেন না, সে কথা বলতেও ছাড়েননি।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, “সামনে পঞ্চায়েত ভোট আসছে তাই দিদির দূত হয়ে এসেছেন, দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আমরা কি ভোট দিইনি, আমরা তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রচার করিনি। ও সব বাহানা ছাড়ুন।” ভোটের পর গ্রামের রাস্তা, নিকাশি নালার জন্য বলতে গেলে উল্টে দলের নেতাদের কাছ থেকে ছুটে এসেছে পুলিশে গ্রেফতার করার হুমকি, কেন এমনটা হবে? ক্ষোভ বাসিন্দাদের।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা সানিয়া খাতুন বলেন, “আমি এখনও স্কুলে পড়ি, আমার ভোটার তালিকায় নাম নেই, কিন্তু তাতে কী! আমি রীতিমতো ভোটের জন্য প্রচার করেছি। আমাদের গ্রামের রাস্তার পাশে নিকাশি নালার জন্য চার বার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, কিন্তু নিকাশি নালার চিহ্ন নেই।” ওই ছাত্রীর পাশে থাকা রজোবা বিবি বলেন, “বিধায়ক কী কারণে গ্রামে এসেছে, ভোটের জন্য তো! আমাদের গ্রামের অনেকে মহিলা আছে যারা এখনও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাই না, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। একাধিক বার আবেদন করার পরেও কিছু হয়নি।” এলাকার এক অন্ধ বাসিন্দা হাসিবর রহমান বলেন, “আমি জন্ম থেকে অন্ধ, আমাকে সরকার একটি ঘর দেয় না।” সব মিলিয়ে ওই দিন বিধায়ককে ঘিরে ধরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, “আমরা দিদির দূত হিসাবেই মানুষের কথা জানতে এসেছি। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কথা আমি জায়গা মতো জানাবো। সত্যিই পানীয় জল, নিকাশি নালা, রাস্তার অভাব আছে। সত্যিটা অস্বীকার করা যায় না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement