পালিয়ে যাওয়ার ১২ দিন পরেও খোঁজ মেলেনি লালগোলার মুক্ত সংশোধনাগারের আবাসিক প্রবীর সর্দারের।
পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রবীর সর্দার নামে বছর আটত্রিশের ওই আবাসিক গত ৭ অগস্ট থেকে পলাতক।
ওই সংশোধনাগারের জেল সুপার আব্দুল্লাহ কামাল বলেন, ‘‘সম্প্রতি স্থানীয় এক সব্জি বিক্রেতা মহিলাকে বিয়ে করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনরা বাসম্তী এলাকার প্রবীর। নিয়ম অনুসারে ওই মহিলাকে নিয়ে সে মুক্ত সংশোধনাগারের কটেজে থাকত। তারপরেই সে সংশোধনাগার থেকে পালিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
নিয়ম অনুসারে ভোর সাড়ে ৫টায় কটেজ থেকে বেরিয়ে গিয়ে রাত সাড়ে ৮ টার মধ্যে সেখানে ফিরে আসতে হয়। সেই মতো সকালে বেরিয়ে লালগোলার বাজারে সব্জি বিক্রি করতেন প্রবীর। ওই মহিলাও সব্জি বিক্রি করতেন সেখানে। সেই সূত্রে তাঁদের পরিচয় ও পরে বিয়ে।
পুলিশ জানায়, ৭ অগস্ট রাত রাত সাড়ে ৮টায় সময় জানা যায় প্রবীর ও ওই মহিলা নিখোঁজ। তাঁদের না পেয়ে মুক্ত সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে লালগোলা থানায় এফআইআর করা হয়।
লালগোলার প্রয়াত মহারাজা যোগীন্দ্রনারায়ণ রায়ের রাজবাড়িতে ১৯৮৭ সালে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম মুক্ত সংশোধনাগারের প্রতিষ্ঠা হয়। পরবর্তীতে তুলনামূলক ভাল আচরণের সাজাপ্রাপ্তদের সপরিবারে বসবাসের জন্য জন্য মুক্ত সংশোধনাগার লাগোয়া ২১টি কটেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানে সপরিবার প্রবীর থাকতেন।
তাঁর সহ-আবাসিকরা বুঝতে পারছেন না এমন ঘটনা ঘটল কী ভাবে।